রামডাকুয়া সেতুর নিমার্ণ কাজ শেষ এবং উদ্বোধন না হওয়ার আগেই ধসে গেছে প‚র্ব পাশের্বর সংযোগ সড়কসহ শেষ প্রান্তের পিলার সংলগ্ন একাংশ। গত এক সপ্তাহ ধরে অবিরাম বৃষ্টি বাদলে কারণে প্রায় ৩০ফুট জায়গা ধসে গিয়ে ফাটল দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের দাবি নিমার্ণ কাজের শুরু থেকে সেতুর কাজে ব্যাপক অনিয়ম করে আসছিল ঠিকাদার ও নকশাকার মইনুল ইসলাম।
এনিয়ে বেশ কয়েক বার কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। তারপরও প্রভাব খাটিয়ে কাজটি শেষ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। এখনও উদ্বোধন করা হয়নি। তিস্তার চরবাসির দীর্ঘদিনের কষ্ট লাঘব এবং স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিমার্ণ হয় রামডাকুয়া সেতু। ২০২০ সালের মার্চ মাসে নিমার্ণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। অথচ ২০২১ সালের আগষ্ট মাসেও কাজ শেষ হয়নি। ঢাকার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান প্রকৌশল প্রযুক্তি লিমিটেড ৯৬ মিটার লম্বা পিসি গার্ডার সেতু দু’পাশে ৫০মিটার করে ১০০ মিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে। নিমার্ণ কাজের বরাদ্দ ছিল ৫ কোটি ৫৭ লাখ ৯৮ হাজার ৪৪৪ টাকা। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পৌর সভার রামডাকুয়া মহল্লার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার শাখা নদীর উপর নিমার্ণ করা হয় সেতুটি। উপজেলার বেলকা, হরিপুর, তারাপুর সহ পাশ্ববর্তী কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর ও চিলমারি উপজেলার প্রায় ২০ গ্রামবাসি প্রতিদিন রামডাকুয়ার শাখা নদী দিয়ে পায়ে হেঁটে, নৌকা যোগে কষ্ট করে উপজেলা শহরে আসা যাওয়া করে আসছিল। এরই এক পর্যায়ে ২০১২ সালে তৎকালিন সংসদ সদস্য ব্যক্তিগত উদ্যোগে ইঞ্জিনিয়ারিং প্লান ইস্টিমেট ছাড়াই একটি সেতু নিমার্ণ করেছিল। কিন্তু ২০১৫ সালে বন্যার স্রোতে সেতুটি ভেসে যায়। এরপর থেকে চরবাসী কষ্ট করে চলাফেরা করছিল। আবারও ২০১৯ সালে এলজিইডি সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু করে। বেলকা চরের ব্যবসায়ী মফিদুল হক মন্ডল জানান নিমার্ণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। সেতুটি উদ্বোধন না হতেই যেহেতু ধস ও ফাটল দেখা দিয়েছে, সে হিসেবে সেতুটির টিকসই কি হবে তা ভাববার বিষয়। স্থানীয় আওয়ামি লীগ নেতা মজিবুর রহমান মজি বলেন কয়েকবছর আগে নদীতে একটা সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হলে উদ্ভোদন হওয়ার আগেই চলাচল শুরু করার আগেই সেতু নদীতে বিলিন হয়ে যায় নদীতে । সেই জায়গায় পুনরায় আবার নতুন সেতু নির্মিত হলে তার সংযোগ সড়কে ৬ মাস চলাচলে একটু বৃষ্টিতে সড়কে ফাটল সহ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
সেতুর দায়িত্বে থাকা উপসহকারি প্রকৌশলী নকশাকার মইনুল ইসলাম জানান, বৃষ্টির কারনে ধসে গেছে, দ্রæত মেরামত করা হবে। উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল মুনছুর জানান, সেতুর সংযোগ সড়কের পাশের বাড়ির মালিক জায়গা না দেয়ায় সংযোগ সড়কের ¯øাব প্ল্যান মোতাবেক করা সম্ভব হয়নি সে কারনে ধসে গেছে। আশু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।