ফেনীতে ডিবি পুলিশের স্বর্ণের বার ডাকাতির পরিকল্পনাকারী ও আলোচিত মামলার বাদী চট্টগ্রামের স্বর্ণ ব্যবসায়ীর সাবেক পার্টনার ছমদুল করিম ভুট্টুকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতারের পর সে রোববার রাতে ফেনীর আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
এরমধ্যেই মামলার আসামী ফেনী ডিবির ওসিরসহ ৬ বরখাস্তকৃত পুলিশ কর্মকর্তা ও মামলার নথি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেটিকেশনে (পিবিআই) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। একইদিন মামলার প্রধান আসামী ফেনীর ডিবির ওসির দ্বিতীয় দফা ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
ভুট্টুর বাড়ি কক্সবাজারের কুতুবদিয়া থানার দক্ষিণ ধুরং গ্রামে। আর মামলার বাদি গোপাল কান্তির বাড়ি চকরিয়াতে। তারা দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম নগরের হাজারী লেনের ইকুইটি কোহিনূর মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় ‘আলো জুয়েলার্স’ নামে একটি স্বর্ণের দোকান পরিচালনা করছেন। তাদের মধ্যে ব্যবসায়িক বনিবনা না হওয়ায় বেশ কয়েকমাস আগে থেকে তারা পৃথক হয়ে যান। মূলত ব্যবসায়িক বিরোধের জেরেই ভুট্টু ফেনী জেলা ডিবি পুলিশের ওসি সাইফুল ইসলামের যোগসাজসে তার দেওয়া তথ্য ও পরিকল্পনায় গত ৮ আগস্ট বিকেল সোয়া ৫টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর ফতেহপুর রেলওয়ে ওভারব্রিজের সামনে ফেনী গোয়েন্দা পুলিশের ৬ কর্মকর্তা গোপাল কান্তি দাসের কাছ থেকে ২০টি সোনার বার(২ কেজি ৩৩০ গ্রাম) ছিনতাই করেন। যার বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি ২৭ লাখ ৮৪ হাজার ৬৩৬ টাকা।
রোববার ১০ আগস্ট ডিবির ওসি মো. সাইফুল ইসলাম, এসআই মোতাহের হোসেন, এসআই নুরুল হক ও এএসআই মাসুদ রানাকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা স্বর্ণের বার ছিনিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করে এবং বারগুলো ওসি ডিবির বাসায় রয়েছে বলে জানায়। পরে ওসি ডিবির বাসার আলমিরার ড্রয়ার থেকে ১৫টি স্বর্নের বার উদ্ধার করা হয়।
Leave a Reply