গত কয়েক মাসের তুলনায় নোয়াখালীতে কমতে শুরু করেছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু। গত ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় একজন ও কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে একজন মারা গেছেন। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১০০ জন।
এ সময়ে পরীক্ষা বিবেচনায় সংক্রমণের হার ছিল ১৭ দশমিক ১২ শতাংশ। এটি কয়েক মাস ধরে ৩০ শতাংশের বেশি ছিল।
সোমবার সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার ও কোভিড হাসপাতালের ইনচার্জ ডা. নিরুপম দাশ।
ডা. নিরুপম দাশ জানান, রোববার সকাল থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন পাঁচজন। এ ছাড়া হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন চারজন। এ পর্যন্ত ৪০ জন নারী ও ২৫ জন পুরুষসহ মোট ৬৫ জন রোগী চিকিৎসাধীন।তবে এদের ১২ জনকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনজনকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, গত একদিনে জেলার তিনটি পিসিআর ল্যাবে ৫৮৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০০টি নমুনা পজিটিভ এসেছে। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৮৬৮ জনে। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ২১৪ আর সুস্থ হয়েছেন ১৪ হাজার ৫২০ জন। এ ছাড়া আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ৪ হাজার ১৩৪ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার জানান, উপজেলাপর্যায়ে স্বাস্থ্য সচেতনতা কার্যক্রম, সভা ও লককডাউনের কারণে জেলায় করোনা সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে। এ ছাড়া করোনা ভ্যাকসিন নিতে জেলার মানুষের আগ্রহ অনেক বেড়েছে। প্রতিটি উপজেলাপর্যায়ে মানুষ টিকা নিচ্ছেন। টিকা নেওয়ার সংখ্যা যত বাড়বে, করোনা সংক্রমণ তত কমতে থাকবে। ১৫ আগস্ট পর্যন্ত জেলায় টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন প্রায় দুই লাখ ৩০ হাজার মানুষ। তাদের মধ্যে প্রায় ৭৫ হাজার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন।