ঢাকা, শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২২ পূর্বাহ্ন
ট্রেন-লাইনচ্যুত, ময়মনসিংহ-ভৈরব রুটে ৭ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
তাপস কর, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহ-ভৈরব রুটে চট্টগ্রামগামী নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনটি শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভৈরব স্টেশনে প্রবেশের সময় একটি বগির ৪টি চাকা লাইনচ্যুত হয়। এতে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে সকল প্রকার ট্রেন চলাচল ৭ ঘণ্টা বন্ধ থাকে।

নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনের চাকা লাইনচ্যুত হওয়ার পর ভৈরব স্টেশনে আটকে পড়ে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃবিজয় এক্সপ্রেস। এতে দুর্ভোগে পড়ে হাজারও যাত্রী। নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগির ৪টি চাকা লাইনচ্যুত হওয়ার পর প্রায় ৭ ঘণ্টা চেষ্টার করে প্রকৌশলীরা রেললাইন সচল করতে সক্ষম হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রেল লাইন সচল হলে আটকেপড়া আন্ত:নগর বিজয় ট্রেনটি ভৈরব থেকে ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

ভৈরব স্টেশন সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার সময় নাসিরাবাদ ট্রেনটি ভৈরব স্টেশনের প্রবেশের সময় হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। ট্রেনে থাকা যাত্রীরা চিৎকার শুরু করলে চালক সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনটি থামাতে সক্ষম হয়। দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনটিকে উদ্ধার করতে দুপুর দেড়টায় আখাউড়া থেকে একটি উদ্ধারকারী ট্রেন এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে। প্রকৌশলীরা প্রায় ৭ ঘণ্টা চেষ্টার পর রেললাইন সচল করতে সক্ষম হয়।

এদিকে ট্রেন লাইনচ্যুতর ঘটনায় বাংলাদেশ রেলওয়ে (পূর্বাঞ্চল) জোন থেকে আলাদা দুটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়। একটিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে (পূর্বাঞ্চল) জোন ঢাকা (এটিও) মো. আমিনুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।

অন্যদিকে রেল দপ্তর পূর্বাঞ্চল জোনের থেকে (টিআইটি) মো. জসিম উদ্দিন ভূঁইয়াকে প্রধান করে ৪ সদস্যের আরো একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির সদস্যরা সন্ধ্যায় সরজমিনে এসে তদন্তের কাজ শুরু করে। তারা ট্রেনের চালক, স্থানীয় লোকজন ও স্থানীয় রেলওয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছেন কেন ট্রেন লাইনচ্যুত হলো, রেল লাইনের ও সিগন্যালের কোনো সমস্যা ছিল কিনা অথবা গাফিলতি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে।

উল্লেখ্য, প্রায় দেড় বছর আগে একই পয়েন্টে ঈশাখাঁ এক্সপ্রেস ট্রেনসহ বেশ কয়েকটি ট্রেনের বগির লাইনচ্যুত ঘটনা ঘটে।

লাইনচ্যুত নাসিরাবাদ ট্রেনে থাকা মামুনুর রসিদ নামের এক যাত্রী বলেন, দেশে লকডাউনের কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ ছিল, দুই দিন হলো রেল চালু হয়েছে। জরুরি কাজে কিশোরগঞ্জ থেকে ফেনী যাচ্ছি। এ সময় রেল ব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেন তিনি।

এ বিষয়ে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় (আখাউড়া) সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান জানান, নাসিরাবাদ ট্রেন ছিল একটি যাত্রীবাহী ট্রেন। কি কারণে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়েছে তা আমরা খতিয়ে দেখছি। দুর্ঘটনাটি রেললাইন অথবা ট্রেনের চাকায় কোনো ত্রুটি ছিল কি না আমরা যাচাই করছি।

এ বিষয়ে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. নুরুন নবী জানান, দুঘর্টনা হওয়ার পর পরই উদ্ধারকারী ট্রেন এসে উদ্ধার কাজ চালায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x