ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩১ অপরাহ্ন
লিওনেল মেসির সঙ্গে বার্সেলোনার ‘বিশ্বাসঘাতকতার’ পেছনের গল্প
দৈনিক ডাক অনলাইন ডেস্ক

আমরা এখন এটা নিশ্চিতভাবেই জানি – যে দিনটির মুখোমুখি হওয়ার কথা বার্সেলোনা এর আগে ভাবতেও পারেনি, সেই দিনটিরই মুখোমুখি হয়েছে ক্লাবটি।

টানা ২০ বছরের বেশি সময়, ৭৭৮টি ম্যাচ, ৬৭২ গোল, ৩৫টি শিরোপা – যার মধ্যে আছে ১০টি লা লিগা, ৪টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি এবং এর বাইরে অসংখ্য ব্যক্তিগত রেকর্ড ও সম্মাননা জয়ের পর বার্সেলোনা ছেড়ে চলে গেছেন লিওনেল মেসি।

প্যারিসে নতুন জীবনের জন্য মেসি যখন ব্যাগ গোছাচ্ছিলেন, তখনও বাতাসে গুঞ্জণ চলছিল যে বার্সেলোনা মেসিকে শেষ মুহূর্তে এমন প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে যাতে তিনি ক্লাবে থেকে যান। তবে দু’পক্ষের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো দ্রুতই ওই গুঞ্জন নাকচ করে দেয়। এটা শেষ পর্যন্ত ঘটতো না।

কাতালান একটি গণমাধ্যমে এই গুঞ্জন প্রথম প্রকাশ পেয়েছিল – যতটা না আশা, তার চেয়ে প্রত্যাশা বেশি ছিল তাতে। সম্ভবত অকল্পনীয় এক বাস্তবতা উপলব্ধিই না করতে পেরেই – যে এখন থেকে এমন এক বার্সেলোনাকে দেখা যাবে, যেখানে থাকবেন না লিওনেল মেসি।

তারা যদি এটা মেনে নিতে না পারেন, তাহলে ভাবুন তো মেসির নিজের কেমন লাগছিলো।

প্রথমেই বোঝার চেষ্টা করুন ছয় বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী লিওনেল মেসি নিজেকে হঠাৎ কোথায় আবিষ্কার করেন, যখন তিনি প্যারিসে নতুন জীবনের জন্য প্রস্তুত করে নিচ্ছিলেন। তার সেই আবেগময় সংবাদ সম্মেলনের শেষ দিয়েই শুরু করা যাক, যেখানে তিনি বার্সেলোনা ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন।

সংবাদ সম্মেলনের শেষে মেসি শীতল এক শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন বার্সেলোনা প্রেসিডেন্ট লাপোর্তাকে। লাপোর্তা যখন নির্বাচনে জিতেছিলেন, মেসি তখন তাকে যেভাবে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছিলেন, তার সঙ্গে এর কোন তুলনা চলে না।

মাঠে কিংবা মাঠের বাইরে নিজের শারীরিক ভাষা আড়াল করা কখনোই লিওনেল মেসির চরিত্রের জোরালো দিক ছিল না।

লিওনেল মেসি বার্সেলোনায় ‘থাকছেন নাকি চলে যাবেন?’- এই লম্বা নাটকীয়তার মাঝে লাপোর্তা সবসময়ই ছিলেন চূড়ান্ত রকমের আশাবাদী একজন। যিনি শুরু থেকেই বলে এসেছেন যে মেসি ও তার সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ট এবং সবকিছুই ঠিকঠাক চলছে।

একই সময়ে মেসির পক্ষের লোকজনের কাছ যেসব বার্তা আমার কাছে এসেছিল, সেগুলোতেও ছিল একই রকমের আশাবাদের সূর – একটা চুক্তি হতে পারে।
কিন্তু তারা জোর দিয়ে এটাও বলেছেন যে ক্লাব প্রেসিডেন্টের তুলনায় তারা অনেক বেশি সতর্ক।

নির্বাচনী প্রচারণার একদম শুরু থেকে বার্সেলোনার বর্তমান প্রেসিডেন্ট একটা কথাই বলে আসছিলেন যে তিনি লিওনেল মেসিকে ক্লাবে রাখতে তাকে কেবল পটাতে পারবেন তা নয় (তার শুধু মেসির সাথে একটা ‘বার-বি-কিউ’ করা প্রয়োজন), বরং তিনি একমাত্র লোক যিনি এই কাজ সফলভাবে করতে পারবেন।

তাহলে তিনি এমন কী জানতেন, যা অন্য প্রার্থীদের অজানা ছিল? যে আর্থিক ফেয়ার প্লে মেনে চলতে হবে বলে তিনি এখন জানেন – এবং যা মানতে ক্লাবের বাধ্যবাধকতা রয়েছে – সেটা তিনি তখনও জানতেন। কিছুই বদলায়নি।

তবে সম্ভবত তিনি জানতেন না যে তিনি এবং ক্লাবটি কত গভীর সমস্যায় পড়তে যাচ্ছে।

ক্ষমতা পেয়ে লাপোর্তা ক্লাবের ঋণের পরিমাণ জেনে অবাক হয়ে হয়েছিলেন। তার ধারণা ছিল ২০০ মিলিয়ন ইউরোর মতো ঋণ হতে পারে, কিন্তু আসলে অঙ্কটা ছিল ৫০০ মিলিয়ন ইউরো।

কিন্তু একই সাথে তিনি নিজে তাদের কাছেও ঋণী ছিলেন যারা বাজেটের ১৫ শতাংশের অর্থের জোগান দিতে ক্লাবে টাকা ঢেলেছেন। বার্সেলোনায় নতুন একটি ব্যবস্থা চালু করতে নতুন পরিচালকদের পক্ষ থেকে এটির বাধ্যবাধকতা ছিল।

খাতা-কলমে বার্সেলোনার মালিক সিজন-টিকেটে কেটে যারা খেলা দেখেন তারা, কিন্তু ওই পরিচালকেরাই আসলে ক্লাবটির দায়িত্বে রয়েছেন। আর তারা চাননি মেসি ক্লাবে থাকুক এবং একই সাথে ক্লাবের মাথায় থাকুক বিপুল ঋণের বোঝাও।

মাস দেড়েক আগেই মেসি ও লাপোর্তা এক সঙ্গে ডিনারে গিয়েছিলেন, আর এরপর মেসি এমন ধারণা পান যে লাপোর্তা জানেন কীভাবে তাকে বার্সেলোনায় রাখা যাবে।

শেষ পর্যন্ত বার্সেলোনা মেসির জন্য দুটি ভিন্ন চুক্তিপত্র তৈরি করে – একটি দুই বছরের, আরেকটি পাঁচ বছরের। দুই পক্ষই পাঁচ বছরের চুক্তির বিষয়ে একমত হয় এবং ক্লাবটির ধারনা ছিল লা লিগা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিতভাবে এই চুক্তি অনুমোদন করবে।

এবং এই পর্যায়ে এসেই বিষয়টি – ক্ষমা করবেন আমি এখানে যদি একটু মজা করি – আসলে ‘মেসি’ হতে শুরু করে (ইংরেজি শব্দ messy মানে বিশৃঙ্খল)।

ওই ডিনারের দুই বা তিন দিন পরেই লা লিগা বস হাভিয়ের তেবাসের সাথে দেখা করেন লাপোর্তা। তেবাজ লাপোর্তাকে বলেন মেসির সঙ্গে তাদের চুক্তিকে তারা অনুমোদন দিতে পারেন, কিন্তু এক্ষেত্রে সিভিসি নামের একটা প্রাইভেট ইকুইটি গ্রুপের সাহায্য লাগতে পারে।

এই সিভিসি সম্প্রতি একটা চুক্তির বিষয়ে সম্মত হয়েছে, যার আওতায় তারা লা লিগায় ২৭০ কোটি ইউরো (২৩০ কোটি পাউন্ড) বিনিয়োগ করবে। বিনিময়ে তারা পাবে এর ১০ শতাংশ ব্যবসা, আর বিনিয়োগ করা অর্থের ৯০ শতাংশ পাবে ক্লাবগুলো।

সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় যখন রেয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা এই সম্ভাব্য চুক্তির বিরুদ্ধে মত দেয় – এই চুক্তির সাথে একমত হলে ক্লাবে বিপুল অর্থ আসতো, এবং যার ১৫ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ৪০ মিলিয়ন ইউরো খেলোয়াড়দের বেতন বাবদ পরিশোধ করা যেত।

লাপোর্তা জানতেন শুধুমাত্র এই চুক্তিতে সই করলেই লিওনেল মেসিকে বার্সেলোনায় রাখা সম্ভব (এবং তিনি তেবাসের কাছে তার প্রবল আগ্রহের কথাও প্রকাশ করেন), কিন্তু আবার তিনি বার্সেলোনার নতুন নির্বাহী প্রধান ফেরান রেভারটারের সঙ্গে একমত হন যে এটা ক্লাবের স্বার্থের জন্য খুব ভালো কিছু হবে না।

আর এরপর পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যায়, যখন রেভারটার লাপোর্তাকে কিছু সংখ্যা দিয়ে চমকে দেন, যা শুনে নতুন প্রেসিডেন্টের রক্ত হিম হয়ে যায়। মেসির বেতনসহ খেলোয়াড়দের বেতন দাঁড়ায় ক্লাবের মোট আয়ের ১১০ শতাংশ, আর মেসির বেতন ছাড়া সেটা হয় ৯৫ শতাংশ।

সহজ কথায় বললে, মেসির বিষয়টি পুরো অসম্ভব হয়ে পড়ে।

অনেকের মতে, সবচেয়ে বড় দুর্ভাবনার বিষয় এটা ছিল না যে লাপোর্তা মেসিকে একটি নতুন চুক্তির প্রস্তাব করছেন না, বরং যেভাবে মেসি ও তাঁর বাবার কাছে পুরো পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেছেন সেটা।

লাপোর্তা স্বীকার করেছেন যে মঙ্গলবারেই তিনি মেসিকে নতুন চুক্তি না দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এর দু’দিন পরে তিনি হোর্হে মেসিকে জানিয়ে দেন যে তাদের বার্সেলোনার গল্প ফুরিয়েছে। আর এখন এমন অনেক কথা বেরিয়ে আসছে যে আসলে ওই সিদ্ধান্ত আরও অনেক আগেই নেয়া হয়েছিল।

লাপোর্তা অবশ্য লা লিগা এবং এর আইন-কানুনের কঠোরতাকে দায়ী করেছেন, আবার একই সঙ্গে এ কথাও বলেছেন যে সিভিসি’র প্রস্তাবিত বিনিয়োগ পরিকল্পনাটি বার্সেলোনার স্বার্থের অনুকূলে ছিল না।

কিন্তু যে বিষয়টি সত্যিকার অর্থে সবাইকে বিরক্ত করেছে এবং যা এরই মধ্যে বার্সেলোনার পরিচালক জমি লোপিসের পদত্যাগকে ত্বরান্বিত করেছে, তাহলো এমন একটি অনুভূতি যে বার্সেলোনা আসলে লিওনেল মেসিকে ক্লাবে রাখার তেমন কোনও চেষ্টাই করেনি – আর এটা এখন নিরাপদেই বলা যায় যে মেসি এবং তার শিবির এর সঙ্গে পুরোপুরি একমত।

ক্যাডেনা সের নামের একটি রেডিও স্টেশনকে লোপিস বলেন, “আমি এমন আলোড়নের কারণ হতে চাইনি। আমি পদত্যাগ করেছি কারণ অনেক বার্সেলোনা ভক্ত যে দাবি জানাতে চান বা যে কথাগুলো বলতে চান, সেই কথাগুলো বলার স্বাধীনতা আমি চেয়েছিলাম। আর সেটা হলো স্বচ্ছতা, যার ঘাটতি রয়েছে। লিও নিজে নিজেকে বলেছে: ‘তারা যা যা করতে পারতো, তার সবগুলো তারা করেনি’।”

তবে মেসির বার্সেলোনা ছাড়ার ঘোষণার দিনে সম্ভবত সবচেয়ে মারাত্মক যে খবরটি বেরিয়েছিল তাহলো, লাপোর্তাকে বার্সেলোনা শহরের সেরা এক রেস্তোরাঁয় সেদিন দেখা গিয়েছিল দু’জন লোকের সঙ্গে – রেয়াল মাদ্রিদ প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ এবং জুভেন্টাসের আন্দ্রেয়া অ্যাগনেলি, যে দু’জন ছিলেন বিতর্কিত ইউরোপিয়ান সুপার লিগ চালুর ধারণার প্রস্তাবক।

ভয়ানক ক্ষিপ্ত লোপিস বলেন, “লিওনেল মেসির প্রস্থান নিয়ে যখন বার্সেলোনাবাসী যখন কাঁদছে, তখন লাপোর্তা রেয়াল মাদ্রিদ প্রেসিডেন্টের সাথে ভোজে কেন গেলেন সেটা বোধগম্য না। এটা খুব ভালো কোন বার্তা দিচ্ছে না।”

বার্সেলোনার আর্থিক অবস্থাটা হয়তো বোঝা যায় – তবে মেসির দিক থেকে একটু ভাবুন, তিনি ছুটি কাটাতে গেলেন, আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে সব ঝামেলা মিটে যাবে এবং ছুটি থেকে ফিরলেন নিশ্চিত হয়ে যে কেবল তার সইটাই বাকি বার্সেলোনায় থাকতে।

মেসির হৃদয় ভেঙে দেয় এই ঘটনা এবং তিনি অনুভব করেন, যে ক্লাবকে তিনি এতো কিছু দিলেন, সেই ক্লাবই তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। বার্সেলোনা তাকে আগের বেতনের ৫০ শতাংশ দেয়ার যে প্রস্তাব করেছিল, তিনি তা গ্রহণ করেছিলেন এমনকি কোন ধরনের দর কষাকষি না করেই।

আইনে একজনকে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ কর্তিত বেতন নিতে বাধ্য করা যায়। তাই মেসি যদি এর চেয়ে কম বেতন নিতে রাজী হতেন, তাহলে আইনের ব্যতয় ঘটতো।

আর্জেন্টিনার হয়ে কোপা আমেরিকার শিরোপা জয়ের পর মেসি খুবই খুশি ছিলেন এবং তার পরিকল্পনা ছিলো আরও দুই বছর সর্বোচ্চ পর্যায়ের ফুটবল চালিয়ে যাওয়া। ততদিনে মেসির বয়স হতো ৩৬। এরপর মেসির ইচ্ছে ছিল আমেরিকায় মেজর সকার লিগে খেলে ক্যারিয়ার শেষ করা, সম্ভবত সেস ফ্যাব্রেগাসের সঙ্গে এবং সম্ভবত ডেভিড বেকহ্যামের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে।

আবার এটাও সত্যি যে ইবিজায় ছুটি কাটানোর সময় মেসি তাঁর সাবেক বার্সেলোনা সতীর্থ নেইমার, আর্জেন্টিনার সতীর্থ আনহেল ডি মারিয়া, লেয়ান্দ্রো পারেদেস এবং ইতালির তারকা মার্কো ভেরাত্তির সাথে মিলিত হন। এরা সবাই প্যারিস সেইন্ট জার্মেইঁতেই ফুটবল খেলেন, তবে তখন পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি, তখন পর্যন্ত তিনি বিশ্বাস করতেন যে বার্সেলোনায় ফিরেই তিনি নতুন চুক্তিতে সই করবেন।

এর আগেও অবশ্য বার্সেলোনা ছেড়ে চলে যাওয়ার কাছাকাছি অবস্থায় এসেছিলেন মেসি। সেই ২০১৪ সালে, ক্যানসারে মারা যাওয়ার আগে সাবেক কোচ টিটো ভিলানোভা মেসিকে পিএসজি-র সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করেছিলেন। টিটো ভিলানোভা বলেছিলেন, “তুমি এখানে যতটা সুখে আছো, তা অন্য কোথাও পাবে না”। মেসি কথা শুনেছিলেন।

দুই বছর পরে মেসির যখন এমন উপলব্ধি ঘটে যে কর বিভাগ তাকে অন্যায়ভাবে হেনস্তা করছে, তখন তিনি ঘোষণা করেন যে তিনি স্পেনই ত্যাগ করবেন। সেবারও মেসিকে নিয়ে বেশ আলোচনা হয়।

এরপর ২০২০ সালে বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে অপমানজনক ৮-২ গোলে হারার পর তখনকার প্রেসিডেন্ট বার্তোমিউয়ের একটি প্রতিশ্রুতি মতো মৌসুম শেষে ক্লাব ছাড়ার অনুমতি চান তিনি। কিন্তু ক্লাবের পরিচালনা বোর্ড তাকে বলে যে তিনি সময়মত ক্লাব ছাড়ার অনুমতি চাননি। মেসি তখন সোজাসাপ্টা বলেছিলেন, “আমাকে মিথ্যে বলা হয়েছিল।”

মেসি আগেও এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন। ২০০০ সালে, বার্সেলোনায় পা রাখার মাত্র ছয় মাস পার হয়েছে কেবল, চোট এবং আমলাতন্ত্র লিওনেল মেসিকে খেলা থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে। সে সময় ১৩ বছর বয়সী মেসি তার বাবা-মা, দুই ভাই এবং এক বোনের সঙ্গে বসে তার অল্পবয়সী জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণটি সিদ্ধান্ত নেন।

মেসি সেদিন জানান, তিনি এখানেই থাকছেন। আর এর ফলাফল ছিলো পুরো পরিবারের আলাদা হয়ে যাওয়া – দুই ভাই ও বোন মায়ের সঙ্গে ফিরে যান আর্জেন্টিনার রোজারিওতে, আর বাবা হোর্হে মেসি বার্সেলোনায় থাকেন ছেলের সাথে।

লিওনেল মেসি এখন গর্বিত একজন স্বামী এবং তিন সন্তানের পিতা। তার এখন সর্বোচ্চ চেষ্টা যাতে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি না ঘটে। আর সে কারণেই তিনি কেবল তার স্ত্রী এবং সবচেয়ে প্রিয় মানুষ আন্তোনেয়ার সঙ্গেই নয়, বরং সন্তানদের সাথেও আলোচনা করেছিলেন যে তিনি অন্য কোথাও যাবেন না-কি যাবেন না।

মেসি বড় হয়েছেন দরিদ্র এলাকা রোজারিওর ধুলোবালুর মধ্যে, কিন্তু তার তিন ছেলে থিয়াগো (জন্ম ২০১২), মাতেও (জন্ম ২০১৫) এবং সিরো (জন্ম ২০১৮) বাড়ি বলতে বার্সেলোনাকেই বোঝে।

অশ্রু তখনও ছিল, এখনও আছে। এবং মেসি পরিবারকে কথা দিয়েছেন, এই প্রস্থান সাময়িক, তারা আবার বার্সেলোনায় ফিরে আসবেন।

তবে এখন, তাদের ভবিষ্যৎ প্যারিসেই।

সূত্রঃ বিবিসি

2 responses to “লিওনেল মেসির সঙ্গে বার্সেলোনার ‘বিশ্বাসঘাতকতার’ পেছনের গল্প”

  1. … [Trackback]

    […] Read More on that Topic: doinikdak.com/news/47128 […]

  2. … [Trackback]

    […] Find More Information here on that Topic: doinikdak.com/news/47128 […]

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x