এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট শতকরা ৫ শতাংশ পাওয়ার কথা থাকলে তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। ইনক্রিমেন্টের জটিলতা নিরসনে শিক্ষা প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, নিয়ম অনুযায়ী এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট শতকরা ৫ শতাংশ পাওয়ার কথা থাকলেও অনেক শিক্ষককেই বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
শুক্রবার (১৩ আগস্ট) জাতীয় শিক্ষক ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রৈমাসিক সভায় এ আহ্বান জানান অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান।
তিনি বলেন, এমপিও নীতিমালায় চাকরির বয়সসীমা ৬ মাস পূর্ণ হওয়ার শর্ত থাকলেও উচ্চতর গ্রেড ও বিএড স্কেল পাওয়া স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা শিক্ষকদের ইনক্রিমেন্ট দেয়া হয়নি। অন্যদিকে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার পর শিক্ষকদের বেতন ফিক্সেশন হয়ে বেতন বাড়ার কথা থাকলেও অনেকের বেতন কমে গেছে, যা অপ্রত্যাশিত ছিল।
অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, বেতন বাড়ার পর ইবতেদায়ী মাদরাসা প্রধান ও কামিল ডিগ্রি অর্জনের পর বেতন বৃদ্ধি পাওয়া সহকারি মৌলভীদের ইনক্রিমেন্ট হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। দীর্ঘদিন অপেক্ষায় থেকে ইনক্রিমেন্ট না পাওয়ায় শিক্ষকরা হতাশ। এ সমস্যা নিরসনে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে যোগাযোগ করা হলেও সঠিক সমাধান আসেনি। জটিলতা নিরসন করে শিক্ষকদের ইনক্রিমেন্ট দিতে হবে।
সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক নাসির উদ্দীন খানের পরিচালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা এ বি এম জাকারিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক ইশতিয়াক আল আমীন, কলেজ বিষয়ক সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, আলিয়া মাদরাসা বিষয়ক সম্পাদক ড. মাওলানা আবু জাফর মু সালেহ, স্কুল বিষয়ক সম্পাদক এস এম মহিউদ্দীন মোল্লা প্রমুখ।