ঢাকা, শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩৯ পূর্বাহ্ন
বন্ধ হয়ে গেল বিমানের অনলাইন টিকিট বিক্রি
দৈনিক ডাক অনলাইন ডেস্ক

রহস্যজনক কারণে দুই বছর ধরে অনলাইন ওয়েব সার্ভারের বিল পরিশোধ করছে না রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। বিল পরিশোধ করতে মার্কেটিং বিভাগকে বারবার চিঠি দিয়েও সাড়া পায়নি সংশ্লিষ্টরা। ১০ আগস্টের মধ্যে বিল পরিশোধ না করায় বিমানের সার্ভার বন্ধ করে দিয়েছে অ্যামাজন ওয়েব কর্তৃপক্ষ।

বুধবার সকাল ৯টা থেকে বিমানের সার্ভার বন্ধ করে দিয়েছে অ্যামাজন।

বিমানের ফাইন্যান্স বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ২০২১ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত ১ বছর ৫ মাসে জ্যাপওয়েজ কোম্পানির সাইট থেকে কোনো আয় না হলেও বিমান চুক্তি অনুযায়ী তাদের ৪ কোটি টাকা বিল দেয়। অপরদিকে দেশীয় কোম্পানির সফটওয়্যার ব্যবহার করে এক বছরে ১২৫ কোটি টাকা আয় করলেও তাদের প্রাপ্য ৯০ লাখ টাকার বিল পরিশোধ করেনি। যদিও জ্যাপওয়েজ কোম্পানির সাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিমানের এক বছরে সাশ্রয় হয় প্রায় ৩ কোটি টাকা।

বিমানের আইটি বিশেষজ্ঞদের ভাষ্যমতে, সার্ভার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় একযোগে অচল হওয়ার পথে বিমানের সব ধরনের অনলাইন টিকিট বিক্রির কার্যক্রম। এতে বিশ্বজুড়ে বড় ধরনের বিপাকে পড়তে যাচ্ছে বিমান। বছরে কমপক্ষে ১২৫ কোটি টাকার অনলাইন টিকিট বিক্রির কার্যক্রম এখন হুমকির মুখে।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, অনলাইনে টিকিট বিক্রিতে বিমানকে কোনো ধরনের কমিশন দিতে হয় না। কিন্তু জিডিএস ও ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে টিকিট বিক্রি হলেও ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ হারে কমিশন ও চার্জ দিতে হয় সংশ্লিষ্টদের। যার একটি অংশ যাচ্ছে বিমানের মার্কেটিং বিভাগের অসাধু সিন্ডিকেটের পকেটে। বিষয়টি টের পেয়ে ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে বাধ্য হয়ে অনলাইন মার্কেটিং শুরু করে বিমান। জ্যাপওয়েজকে বাদ দিয়ে নতুন করে অত্যাধুনিক সাইট তৈরি করা হয়। কারণ জ্যাপওয়েজের সফটওয়্যারটি ছিল ভুলে ভরা। সাইটটি থেকে রিফান্ড করা যেত না, টিকিট ইস্যু-রিস্যু করা যেত না, চালানো যেত না মোবাইল অ্যাপস। সেই সঙ্গে ভুলের পরিমাণ এত বেশি ছিল যে, এই খাতে প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা লোকসান গুনতে হতো বিমানের।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x