ঢাকা, মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২৯ অপরাহ্ন
মহরম ও হিজরি নববর্ষের শুভেচ্ছা বাইডেনের
দৈনিক ডাক অনলাইন ডেস্ক

বিশ্বের মুসলিম জনগোষ্ঠীকে পবিত্র মহরম ও নতুন হিজরি সালের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার স্ত্রী জিল বাইডেন। সোমবার (৯ আগস্ট) এক টুইটে এই শুভেচ্ছাবার্তা দেন তিনি।

টুইটে জো বাইডেন বলেন, ইসলামি নববর্ষ ও পবিত্র মহররম মাস উপলক্ষে জিল (স্ত্রী) ও আমি সবাইকে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। মহরম মাসে যে ঐতিহাসিক আত্মদানের ঘটনা ঘটেছিল তা স্মরণের পাশাপাশি ন্যায়বিচার, সমতা ও সহানুভূতির মতো বৈশ্বিক মূল্যবোধসমূহের প্রতি পূর্ণ সম্মান রেখে আমরা মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত হতে চাই।

মহরম মাস ও নতুন বছর ১৪৪৩ হিজরি শুরু হওয়ায় আগামী ২০ আগস্ট (শুক্রবার, ১০ মহরম) পবিত্র আশুরা পালিত হবে।

আশুরা হলো ইসলামের একটি ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবস। ইসলামিক পঞ্জিকা অনুযায়ী মহরমের দশম দিনকে আশুরা বলা হয়। এটি ইসলাম ধর্ম অনুসারীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। সুন্নি মতানুযায়ী ইহুদিরা মুসার বিজয়ের স্মরণে আশুরার সাওম বা রোজা পালন করত। তবে শিয়ারা আশুরার পূর্ব ইতিহাসকে প্রত্যাখ্যান করে এবং তারা আশুরাকে কারবালার বিষাদময় ঘটনার স্মরণে পালন করে।

এই দিনটি শিয়া মুসলমানরা বেশ আনুষ্ঠানিকভাবে পালন করে থাকে। এ উপলক্ষে তারা বিভিন্ন ধরনের মিছিল, মাতম ও শোকানুষ্ঠান আয়োজন করে। তবে একটি ক্ষুদ্র অংশ তদবির পালন করে থাকে। শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলগুলোতে এসব অনুষ্ঠান চোখে পড়ার মতো। যেমন- পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরান, ইরাক, লেবানন ও বাহরাইন। তবে আশুরা নিয়ে সুন্নি সমাজে বিভিন্ন মত প্রচলিত আছে।

আশুরা মূলত একটি শোকাবহ দিন কেননা এদিন নবী মুহাম্মদ (সা.) এর দৌহিত্র হুসাইন ইবনে আলী নির্মমভাবে শহীদ হয়েছিলেন। কিন্তু ইসলামের ইতিহাসে এই দিনটি বিভিন্ন কারণে গুরুত্বপূর্ণ।

বলা হয়, এই দিনে আসমান ও যমিন সৃষ্টি করা হয়েছিল। এই দিনে পৃথিবীর প্রথম মানুষ আদমকে সৃষ্টি করা হয়েছিল। এই দিনে আল্লাহ নবীদের স্ব-স্ব শত্রুর হাত থেকে আশ্রয় প্রদান করেছেন। এই দিন নবী মুসার (আ.) শত্রু ফেরাউনকে নীলনদে ডুবিয়ে দেওয়া হয়। নূহ (আ.) এর কিস্তি ঝড়ের কবল হতে রক্ষা পেয়েছিল এবং তিনি জুডি পর্বতশৃংগে নোঙর ফেলেছিলেন।

এই দিনে দাউদ (আ.) এর তাওবা কবুল হয়েছিল, নমরূদের অগ্নিকুণ্ড থেকে ইব্রাহীম (আ.) উদ্ধার পেয়েছিলেন। আইয়ুব (আ.) দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্ত ও সুস্থতা লাভ করেছিলেন। এদিনে আল্লাহ তাআলা ঈসা (আ.)কে ঊর্ধ্বাকাশে উঠিয়ে নিয়েছেন।

যদিও ভিন্ন মতে ঘটনাগুলোর অনেকই এই দিনে ঘটেছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়নি। ‌আবার, প্রচলিত আছে যে এই তারিখেই কেয়ামত সংঘটিত হবে। যদিও এই বিষয়ে মতভিন্নতা রয়েছে।

ইহুদিরা আশুরা উপলক্ষে মহরম মাসের ১০ তারিখে রোজা রাখে। শিয়া সম্প্রদায় মর্সিয়া ও মাতমের মাধ্যমে এই দিনটি উদ্‌যাপন করে। আশুরা উপলক্ষে ৯ এবং ১০ মহরম তারিখে অথবা ১০ এবং ১১ মহরম তারিখে রোজা রাখা মুলমানদের জন্য সুন্নত। এ ছাড়া মুসলমানরা এদিন উত্তম আহারের জন্য চেষ্টা করে থাকেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x