কোভিড -১৯ আবারও কানাডাবাসীকে আতঙ্কের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। গতবছর মার্চ মাসে প্রথম কোভিড শনাক্ত হয় ব্রিটিশ কলম্বিয়াতে। তারপর থেকে এ পর্যন্ত ২৩ হাজারের ও বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করে।
অদূশ্য এই আতঙ্কের সাথে যোগ হয়েছে নতুন ভ্যারিয়েন্ট যা ঠেকাতে সরকারকে অনেক বেগ পেতে হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কানাডার অন্টারিওতে ‘স্টে হোম অর্ডার’ রীতি মেনে চলতে হচ্ছে এবং কানাডার মন্ট্রিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কয়েকটি সিটিতে লকডাউন চলছে।
অন্যদিকে কোভিড-১৯ কানাডাজুড়ে স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থাকে নজিরবিহীন চাপে ফেলে দিয়েছে এবং কানাডিয়ানদের জরুরিভিত্তিতে সহায়তা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। আর এ সহায়তা হিসেবে নগদ অর্থের সংকটে থাকা প্রদেশ, অঞ্চল ও মিউনিসিপালিটিগুলোর স্বাস্থ্য সেবায় ব্যয়ের জন্য ৭২০ কোটি ডলার সংস্থানের উদ্দেশে একটি বিল এনেছে লিবারেল সরকার।
কানাডা হেলথ ট্রান্সফারের মাধ্যমে নতুন ৪০০ বিলিয়ন ডলার সরবরাহ করা হবে, যা মহামারির কারণে কানাডার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ভেঙে পড়া থেকে সহায়তা করবে। কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেসনের জন্যও ১০০ কোটি ডলারের প্রস্তাব করা হয়েছে বিলে।
ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড বলেন, অর্থনীতি পুরোপুরি পুনরুদ্ধারে কানাডিয়ানদের ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে হবে। ভ্যাকসিনের কর্মসূচিতে গতি এসেছে। এটা একটা ভালো দিক। তারপরও আমাদের চেষ্টা করতে হবে অধিক সংখ্যক কানাডিয়ানকে দ্রুত ভ্যাকসিন দেওয়ার।
কানাডার প্রিমিয়াররাও বাড়তি অর্থ সংস্থানের এ সম্ভাবনাকে স্বাগত জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তারা স্বাস্থ্য খাতের ব্যয় ২২ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশে উন্নীত করার দাবি জানিয়েছেন। আগামীতে যাতে এটা অব্যাহত থাকে সে আহ্বানও জানিয়েছেন তারা।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ৪৫ হাজার ২ শত ৭৮ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন ২৩ হাজার ২শ’ ৫১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৯ লাখ ৫৪ হাজার ১৭ জন।