গ্রাম অঞ্চলে প্রায় ঘরে ঘরে জ্বর সর্দি কাশিসহ করোনার উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। কিন্তু একঘরে হওয়ার ভয়ে গ্রামের মানুষ করোনার নমুনা পরীক্ষা করায় না। উপসর্গ নিয়ে ঘুরে বেড়ানোয় অন্যদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় মানুষকে সচেতন করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
দেড় বছর আগে দেশে যখন করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হয় তখন তা ঢাকা এবং অন্য শহরাঞ্চলেই ছড়ায় বেশি। কিন্তু দেড় বছরের মাথায় প্রত্যন্ত গ্রামেও ছড়িয়ে পড়েছে করোনার প্রকোপ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী- দেশের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হওয়া করোনা রোগীদের ৮০ ভাগই গ্রামাঞ্চলের।
চিকিৎসকরা বলছেন, সংকটাপন্ন অবস্থায় যাওয়ার পরেই গ্রামাঞ্চল থেকে রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে। তাদের অনেকেই করোনার পরীক্ষা করায় না। ফলে সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ছে।
গ্রামের মানুষ কেন করোনা পরীক্ষা করায় না? এমন প্রশ্নে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও চিকিৎসকরা বলছেন, করোনার উপসর্গকেও গ্রামের মানুষ সাধারণ জ্বর সর্দি কাশি মনে করে। তাছাড়া করোনা হলে একঘরে হয়ে যাবে এমন ভুল ধারনাও কাজ করে তাদের মধ্যে।
দেশে বর্তমানে প্রতিদিন ৫০ হাজার মানুষের করোনা নমুনা পরীক্ষা করানো যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ সংখ্যা প্রতিদিন কমপক্ষে এক লাখ হওয়া দরকার।
উপসর্গ দেখা দিলে গ্রামের মানুষ যাতে করোনা পরীক্ষা করায় সেজন্য উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে করোনা বিষয়ক কমিটির সদস্যরা কাজ করছে বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ রোধে গত ২৩ জুলাই থেকে দেশে সর্বাত্মক কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। যা আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে। তবে বিধিনিষেধের মেনে চলার প্রতি অনেকের আছে অনীহা। এই বিধিনিষেধের কারণে জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। ক্ষতি হচ্ছে অর্থনীতি। এসব কারণে আগামী ৫ আগস্টের পর থেকে ধীরে ধীরে বিধিনিষেধ তুলে দেয়া হবে এবং সব খোলা হবে। প্রথমে অর্ধেক জনবল নিয়ে অফিসগুলো খোলা হবে। তবে সব কিছু এক সঙ্গে নয়। ধাপে ধাপে সব খোলা হবে।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, সব ধীরে ধীরে খোলা হবে। তবে একবারে না। সব ধাপে ধাপে খোলা হবে। কিন্তু এক সঙ্গে সব খোলা হবে না। প্রথম দিকে অর্ধেক জনবল নিয়ে অফিস খোলা হবে বলেও জানান তিনি।