ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:২২ অপরাহ্ন
অল্পের মাঝেই সুখে থাকা মানুষ
এ,এস পলাশ-জামালপুর

প্রতিদিন রাতে বাসায় যাওয়ার সময় বাদাম কিনে নিয়ে যাই। আমার বউ রাতে বাদাম বাজে আর সকাল সকাল সেই বাদাম নিয়ে বের হয়ে যাই। রাত পর্যন্ত চলে আমার ব্যাবসা। আমার সীমা এই সদরঘাট পর্যন্তই। এর বাইরে যাওয়ার দরকার হয় নাই কোনসময়।

নদীর ওপার আমার ছোট ঘর৷ এক রুমের শান্তির জীবন। বেশি কিছু নাই আমার ঘরে। আমি আর আমার পরী মিলে খুব সুখে থাকি আমরা। আমার বউটা দেখতে পরীর লাহান। নামটাও পরীবাণু। কোন চিন্তা নাই আমগর। দিন আনি দিন খাই আর দিনশ্যাষে ২০ টাকা জমাই। সারাদিন বাদাম বেইচা রাতে আমার পরীরে সময় দেই। ও যখন বাদাম ভাজে আমি ওর মাথায় তেল দিয়া দেই। বউটা খুব খুশি হয়। একসাথে রাইতের খাওন খাই। আমগোর বাচ্চাকাচ্চা হয় নাই। আমার ঘরের পাশের সব বাচ্চাগুলান আমার বউরে মা ডাকে আর আমারে ডাকে বাপ। আর আপনাগো মতন আমার কত বাচ্চার লগে প্রতিদিন দেখা হয়, সবাইরে বাপ আর মা বইলা ডাকি। আমার ও সুখ লাগে, আর যাদেরকে বাবা মা বলি তারাও খুশি হয়। আমার বউ প্রতি মাসে হাটের দিনে একটা শাড়ি আর আমার জন্য একটা শার্ট কিনে কেরানীগঞ্জ এর হাট থেইকা।

জীবন আমার এমনেই  যায়, অনেক শান্তিতে যায়। আমার কোন অভাব নাই, চিন্তা নাই কোন আফসোস নাই৷ খালি আছে সুখ আর সুখ।

x