ঢাকা, বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৯ অপরাহ্ন
বৈশ্বিক জলবায়ু তহবিল নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
Reporter Name

বাংলাদেশ প্রতি বছরের জন্য ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈশ্বিক জলবায়ু তহবিল গঠনের বিষয়ে আশাবাদী বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্যারিস চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের পুনরায় যোগদানের মধ্যে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ‘জলবায়ু বিষয়ক নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে’ দৃঢ় ‘রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি’ ব্যক্ত করায় আমরা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে (জলবায়ু তহবিল সম্পর্কিত ১০০ বিলিয়ন ডলার) দৃঢ় রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি দেখতে পেয়ে আশাবাদী।

শীর্ষ সম্মেলনের ফলাফল প্রকাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ প্রায় ৪০ জন রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধান বৃহস্পতিবার এতে ভার্চ্যুয়ালি উপস্থিত ছিলেন।

প্যারিস চুক্তির অঙ্গীকারের অংশ হিসাবে জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে প্রশমন ও অভিযোজনের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সাহায্য করার জন্য ২০২০ সাল থেকে প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার তহবিল উত্তোলনের একটি বিধান রাখা হয়েছিল তবে এখনো এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবাযন হয়নি।

তবে ড. মোমেন বলেন, বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে বজায় রাখতে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি সর্বদা গুরুত্বপূর্ণ। তহবিল মুখ্য নয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি। যদি রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি থাকে, তাহলে অর্থায়নে কোন সমস্যা হবে না।

মোমেন জলবায়ু বিষয়ক নেতৃবৃন্দের শীর্ষ সম্মেলনকে ‘যুগান্তকারী’ বলে অভিহিত করেছেন, যার আয়োজক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিশ্বনেতৃবৃন্দ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

তিনি বলেন, এ বছরের নভেম্বরে গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনের (কোপ-২৬) পথে এই শীর্ষ সম্মেলনকে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন। এর আগে জলবায়ু বিষয়ক মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত জন কেরি গত ৯ এপ্রিল ঢাকায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিশ্বনেতাদের বৈঠকে অংশ নেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট বাইডেনের আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভাষণে উন্নত দেশগুলোকে তাদের কার্বন নির্গমন হ্রাসের পাশাপাশি ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বার্ষিক জলবায়ু তহবিল নিশ্চিত করার জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের আহ্বান জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তার প্রথম প্রস্তাবে বলেন, বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখতে উন্নত দেশগুলোর কার্বন নির্গমন হ্রাসের তাৎক্ষণিক ও উচ্চাভিলাষী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোরও প্রশমন ব্যবস্থার দিকে মনোনিবেশ করা উচিত।

শেখ হাসিনা দ্বিতীয় প্রস্তাবে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছেন যা ‘লোকসান ও ক্ষতি’ অনুসরণ করার সময় দুর্বল সম্প্রদায়ের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়ে অভিযোজন এবং প্রশমনের মধ্যে ৫০:৫০ ভারসাম্য বজায় রাখা উচিত।

তিনি তার তৃতীয় প্রস্তাবে বলেন, প্রধান অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারী খাতের উচিত ছাড়মূলক জলবায়ু অর্থায়নের পাশাপাশি উদ্ভাবনের জন্য এগিয়ে আসা।

চতুর্থ প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশগুলোর মধ্যে প্রযুক্তি হস্তান্তরের ব্যবস্থাসহ সবুজ অর্থনীতি এবং কার্বন নিরপেক্ষ প্রযুক্তির দিকে মনোনিবেশ করা প্রয়োজন।

তিনি উল্লেখ করেন, সিভিএফ এবং ভি-২০ (দ্যা ভালর্নারেবল টুয়েন্টি) এর সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য হচ্ছে জলবায়ু দুর্বল দেশগুলোর স্বার্থ বজায় রাখা।

শীর্ষ সম্মেলনে ভাষণ দেওয়া বিশ্ব নেতাদের মধ্যে রয়েছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিংকেন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টের জলবায়ু বিষয়ক বিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরিও এতে যোগ দেন।

এই শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্বের প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোর কোপ-২৬ এর সময় তাদের জলবায়ু উচ্চাকাক্সক্ষাকে শক্তিশালী করার জরুরি প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করা হয় এবং নেতাদের জলবায়ু উচ্চাকাক্সক্ষাকে শক্তিশালী করার জন্য নতুন পদক্ষেপ ঘোষণা করার সুযোগ প্রদান করা হয়।

শীর্ষ সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দুর্বল দেশগুলোর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

কেরির সফরের পর মার্কিন দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, জলবায়ু দুর্বল ফোরাম (সিভিএফ) এবং ক্ষতিগ্রস্থ বিশ (ভালর্নারেবল টুয়েন্টি) গ্রুপের অর্থমন্ত্রী হিসেবে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং জলবায়ু ঝুঁকির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়া এবং স্থিতিস্থাপকতা গড়ে তোলে।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার প্রথম দিনেই প্যারিস চুক্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।


নিউজ সোর্সঃ বৈশ্বিক জলবায়ু তহবিল নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

13 responses to “বৈশ্বিক জলবায়ু তহবিল নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী”

  1. … [Trackback]

    […] Find More on to that Topic: doinikdak.com/news/8964 […]

  2. Sofole says:

    lasuna price – buy generic himcolin buy himcolin pills for sale

  3. Ckswgg says:

    neurontin 100mg oral – buy neurontin 800mg online purchase sulfasalazine generic

  4. Rqybxn says:

    besivance cost – order generic sildamax cheap sildamax pill

  5. Alymdq says:

    buy cheap probenecid – buy tegretol 200mg for sale where can i buy tegretol

  6. Sdsgsd says:

    celecoxib 200mg over the counter – generic indocin 50mg buy cheap indomethacin

  7. Glbykc says:

    oral voltaren – buy cambia pill aspirin order online

  8. … [Trackback]

    […] Find More on on that Topic: doinikdak.com/news/8964 […]

  9. … [Trackback]

    […] Here you can find 68569 additional Information on that Topic: doinikdak.com/news/8964 […]

  10. Nmrxkp says:

    pyridostigmine cost – azathioprine 50mg brand cost imuran 50mg

  11. Tcoyue says:

    buy cheap rumalaya – order shallaki sale amitriptyline 50mg price

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x