করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন গণসঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীরকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। দেশবরেণ্য এই সঙ্গীতশিল্পীর সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চান তার পরিবারের সদস্যরা। সোমবার (১৬ এপ্রিল) গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফকির আলমগীরের ছেলে মাশুক আলমগীর রাজীব।
তিনি বলেন, ‘বাবার অবস্থা সারাদিন ভালোই ছিলো। কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকে অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমতে থাকে। উনাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। খুব কষ্ট করে চিকিৎসকরা এটা করেছেন। যন্ত্রণায় হাত পা ছুঁড়ছিলেন আমার বাবা। তার অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯০-এ উন্নীত হয়েছে। আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন।’
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যায় তার শ্বাসকষ্ট অনেক বেড়ে যাওয়ায় তাকে রাজধানীর গ্রিন রোডের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আইসিইউ না থাকায় তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গণসঙ্গীত ও দেশীয় পপসঙ্গীতে ফকির আলমগীরের ব্যাপক অবদান রয়েছে। তিনি ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা। জগন্নাথ কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে পরবর্তী পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় এমএ পাস করেন তিনি। ১৯৬৬ সালে ছাত্র ইউনিয়ন মেনন গ্রুপের সদস্য হিসেবে ছাত্র রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। পরবর্তীতে ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী ও গণশিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে ষাটের দশকে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সঙ্গীত বলয়ে প্রবেশ করেন।
১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করেন তিনি। দেশ্য বরেণ্য এই শিল্পী ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে শব্দসৈনিক হিসেবে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগ দেন। সঙ্গীতে অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৯৯ সালে সরকার তাকে একুশে পদক দিয়ে সম্মানিত করে।
2D6 predicts CYP2D6 haplotype functional status with 88 accuracy in a held out test set and explains 47 where to buy cialis online