ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে অতিরিক্ত যানবাহন ও ঘরমুখো মানুষের চাপে উত্তরবঙ্গমুখী লেনের ২৫ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
রোববার (১৮ জুলাই) শেষ রাত থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রাবনা বাইপাস পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার এলাকা যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মহাসড়কের রাবনা বাইপাস, বিক্রমহাটি, রসুলপুর, পৌলি, এলেঙ্গা, ভাবলা,হাতিয়া, যোগারচর ও গোহালিয়া বাড়ি এলাকা যানজটে স্থবির হয়ে গেছে। মাঝে মাঝে ঢাকামুখী লেনে গাড়ি চললেও উত্তরবঙ্গ মুখি গাড়ি আটকে রয়েছে। গণপরিবহন চললেও অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকের ওপরে করে যাতায়াত করছেন।
যানজটের কারণে চালক ও যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের ভোগান্তি অনেক বেশি হচ্ছে। এছাড়াও গরু – ছাগল নিয়ে উত্তরাঞ্চল থেকে ঢাকা অভিমুখে যাত্রা করা ব্যবসায়ীরা পড়েছেন চরম বেকায়দায়। সড়কেই কেটে যাচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময়।
পৌলি বাসস্টান্ডে যানজটে আটকে থাকা শ্যামলী পরিবহনের চালক রুবেল মিয়া জানান। এক কিলোমিটার এলাকা আসতে এক ঘণ্টা সময় লাগছে। প্রতিবছর ঈদের আগে শুধু ভোগান্তি পোহাতে হয়।
পিকাপ চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল মধুপুর থেকে ছাগল নিয়ে গলিস্তান যাওয়ার সময় টাঙ্গাইলে তেমন যানজট পাইনি। আজকে গলিস্তান থেকে রাত সাড়ে তিনটায় গাড়ি ছেড়ে এসেছি সাড়ে ৭ ঘন্টায় পৌলী পযর্ন্ত এসে যানজটে আটকে আছি।
এ বিষয়ে এলেঙ্গা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত জানান, মহাসড়কে শেষ রাত থেকে গাড়ির চাপ বেড়েছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথ স্বাভাবিক হবে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সিরাজগঞ্জের নলকা ব্রিজে গাড়ি টানতে না পারায় গাড়ির চাপ বেড়েছে। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে পশু বহনকারী ট্রাক-পিকআপ ও গণপরিবহনও বের হয়েছে কয়েকগুণ বেশি। যে কারণে সেতুর উভয় পারে গাড়ির চাপ রয়েছে।