ঢাকা, শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন
ময়মনসিংহে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করলেন সিটি মেয়র
তাপস কর,ময়মনসিংহ

টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করলেন মাসিক সিটিমেয়র ইকরামুল হক টিটু।

মঙ্গলবার সকালে টায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রমের আওতায় মর্ডানা টিকাদান কার্যক্রমেরে উদ্বোধন এবং পরবর্তীতে বুথসমূহ পরিদর্শন করেন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু।

এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডাঃ ফজলুল কবীর, জাতীয় পুষ্টি সেবার লাইন ডিরেক্টর এস এম মুস্তাফিজুর রহামান, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডঃ চিত্তরঞ্জন দেবনাথ, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ এইচ কে দেবনাথ, মেডিকেল অফিসার ডাঃ রেদাউর রহমান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শনকালে মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু বলেন, বিশ্বব্যাপী টিকার এই সংকটে আমরা আবার গণটিকা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছি এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারনেই সম্ভব হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের মানুষ নিরাপদ এবং সুরক্ষিত।

তিনি আরো বলেন, ইতোপূর্বে আমরা অক্সফোর্ড এস্ট্রোজেনিকার টিকাদান সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। বর্তমান গণটিকা কার্যক্রমকে সফল করার সার্বিক প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ, এসকে হাসপাতাল এবং সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থাপিত মোট ৩ টি কন্দ্রের ১২ টি বুথে এ টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে। সাধারন মানুষ স্বাচ্ছন্দ এবং স্বস্তির সাথে এ টিকা গ্রহণ করতে পারবেন।

এ সময় উপস্থিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, টিকা নেওয়া সংক্রমণ প্রতিরোধের গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। আমরা চাই দ্রুততম সময়ে যেন অধিক মানুষকে টিকা দেওয়া যায়।

এস্ট্রোজেনিকা টিকা যারা একটি ডোজ নিয়েছে তাদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা আশা করছি এ মাসেই এস্ট্রোজেনিকার টিকা দেশে পৌঁছাবে। আগামী মাসে এস্ট্রোজেনিকার প্রথম ডোজ নেওয়া ব্যক্তিগণ ২য় ডোজ নিতে পারবেন।

তিনি আরো বলেন, করোনা সংক্রমণ কমানোর একমাত্র উপায় হচ্ছে ট্রান্সমিশন চেইকে ভেঙে দেওয়া। আর তা সম্ভব মানুষের সাথে মানুষের সামাজিকভাবে আলাদা করার মাধ্যমে। আমারা যাদি সামাজিক দুরত্ব বজায়ে রাখি, সামাজিক অনুষ্ঠান ও জনসমাবেশ এড়িয়ে চলি, যে কাজগুলো আমাদের জীবিকার জন্য প্রয়োজন শুধু সেই কাজেই সীমাবদ্ধ থাকি তবে করোনা প্রতিরোধ করা সম্ভব। আমরা এ কাজগুলো করিনা বলেই লকডাউনের মত কঠোর বিধি নিষেধে যেতে হচ্ছে। আমরা যদি স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে মানতাম, মাস্ক পরতাম তাহলে সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x