সিলেটসহ দেশের সকল সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মডার্নার গণটিকাদান কর্মসূচি মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) থেকে শুরু হচ্ছে।
এ লক্ষ্যে সিলেটে আজ রবিবার প্রাথমিক পর্যায়ে মডার্নার ভ্যাকসিন এসেছে ১৯ হাজার ২শ’ ডোজ। একই দিনে সিলেটের জেলা ও উপজেলার জন্য এসেছে চীনের তৈরি সিনোফার্মের ৪৫ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন।
জানা গেছে, সিলেট মহানগরীতে আগামী মঙ্গলবার থেকে দুটি কেন্দ্রে শুরু হচ্ছে টিকাদানের কার্যক্রম। সেগুলো হচ্ছে- সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও সিলেট জেলা পুলিশ হাসপাতাল (পুলিশ লাইন্স কেন্দ্রে)।
এরবাইরে নতুন করে সিলেট সিটি কর্পোরেশন আরো ৯টি কেন্দ্রে টিকা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করে রেখেছে। কেবল অনুমোদন পেলেই এসব কেন্দ্রে শুরু হবে টিকা কার্যক্রম।
সিটি কর্পোরেশন সূত্র জানায়, গেল তিন দিন আগে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কাছে নতুন ৯টি কেন্দ্রে টিকাদানের জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো- নগর ভবন (সিলেট সিটি কর্পোরেশন) ধোপাদিঘীরপাড়স্থ সীমান্তিক পরিচালিত বিনোদনী স্বাস্থ্য কেন্দ্র, চৌহাট্টাস্থ মাতৃমঙ্গল হাসপাতাল, কাজীটুলার সূর্যের হাসি ক্লিনিক, টিলাগড়ের সূর্যের হাসি ক্লিনিক, ৮ নং ওয়ার্ডের বীরেশ চন্দ্র নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র, বাগবাড়ী বর্ণমালা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ২৬ নং ওয়ার্ডের কদমতলী নতুন বাস টার্মিনালের পাশের নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র।
এসব কেন্দ্রে টিকা কার্যক্রম চালানোর জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুতি করে রাখা হয়েছে। টিকার জন্য কর্মীদের দেওয়া হয়েছে প্রশিক্ষনও। সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট টিম ভিজিট করে চূড়ান্ত করেছে। কেবল স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে অনুমোদন পেলেই এসব কেন্দ্রে টিকা কার্যক্রম শুরু হবে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পুলিশ লাইন্স কেন্দ্রে টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হবে। এরপর অনুমোদন পেলেই নতুন কেন্দ্রগুলোতে শুরু হবে টিকা দেওয়ার কার্যক্রম।
এছাড়া সিলেটের প্রবাসীদের টিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সৌদি আরবসহ যে সকল দেশে মর্ডানার টিকা স্বীকৃতি দিচ্ছে সে সকল দেশের জন্য প্রবাসীরা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মডার্নার টিকা গ্রহণ করতে পারবেন। তাদেরকে কষ্ট করে ফাইজারের টিকা নেয়ার জন্য রাজধানীতে যেতে হবে না। তবে ইতিমধ্যে যারা টিকার জন্য ঢাকার কেন্দ্র সিলেক্ট করেছেন তাদেরকে সেখানেই যেতে হবে বলে জানান সিসিকের প্রধান এ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।