টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরিভাবে বালুর ব্যাগ ফেললেও ভাঙন থামানো যাচ্ছে না।
ভাঙ্গনের তীব্রতা এতো বেশি যে মানুষজন তার ঘরবাড়ি, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরিয়ে নেয়ার সুযোগটুকুও পাচ্ছে না। দিশেহারা হয়ে দিনাতিপাত নদী পাড়ের মানুষজন।
ঘর বাড়ি হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে পড়ছেন তারা। সরকারি বেসরকারি কোন প্রকার ত্রাণ সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ ভাঙ্গন কবলিত অসহায় মানুষদের।
বর্ষার শুরুতেই টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর পানি প্রতিদিনই অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথেই দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙ্গন। ইতোমধ্যেই টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চর পৌলী, কাকুয়া, মাহমুদ নগরসহ প্রায় ৭ টি গ্রামে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
গত এক সপ্তাহে শুধু চরপৌলীতে প্রায় অর্ধশতাধিক ঘর বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এমন ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ভাঙ্গন কবলিত মানুষজন।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোড থেকে চর পৌলী এলাকায় মাত্র ৩’শ মিটার এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা করা হলেও তা কোন কাজে আসছে না। কাজের গুনগতমান ও অপরিকল্পিতভাবে কাজ করায় যেখানে জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে সেখানেও ভেঙ্গে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ স্থানীয় এলাকাবাসীর।
এ ব্যাপারে কাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, গত বছরের মতো এবারও নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যেই অনেকে শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। সরকারি ত্রাণ সহযোগিতা পেলে এসব ভাঙ্গন কবলিত অসহায়দের মাঝে বিতরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।