ঢাকা, রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১২ অপরাহ্ন
ভূরুঙ্গামারীতে প্রশাসন ও পুলিশের সাথে লুকোচুরি খেলায় সাধারণ জনগণ
আরিফুল ইসলাম জয়  কুড়িগ্রাম জেলা

সরকার ঘোষিত করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে কুড়িগ্রাম এর ভূরুঙ্গামারী উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের সাথে লুকোচুরি খেলায় মেতে উঠেছে  সাধারণ জনগণ।

১জুলাই বৃহস্পতিবার থেকে ৭ জুলাই সারাদেশে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এতে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার  আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিদিনেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানা করা হচ্ছে অসংখ্য মানুষ কে। তবুও জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে পারছেন না প্রশাসন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় ১ম দিন, ২য় দিন ৩য় দিনের চিত্রের সাথে ৪ র্থ  ও ৫ ম দিন, রবি ও সোমবারের চিত্র অনেকটাই ভিন্ন দেখা গেছে। ধীরে ধীরে জনগণ কারণে অকারণে ঘর থেকে বের হয়ে বিভিন্ন অজুহাতে বাহিরে ঘুরাফেরা করতে দেখা গেছে।

শহরে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতায় সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন হলেও উপজেলার  বাইরে গ্রামাঞ্চলের হাট বাজার গুলোতে দেখা গেছে ভিন্নচিত্র।  উপজেলার ইসলামি ব্যাংক মার্কেট, কলেজ মোড়,  বাস স্ট্যান্ড,  জয়মনিরহাট বাজার,  থানাঘাট বাজার, পাটেশ্বরী  বাজার, ধামেরহাট বাজার, ভূরুঙ্গামারী হাট বাজার  সদর সহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে সরজমিনে দেখা গেছে, কেউ মানছে না সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ। দোকান পাট খোলা রেখে বেচাকেনা চলছে অনায়াসেই। চায়ের দোকানে চলছে জমজমাট আড্ডা।টেলিভিশন ছেড়ে দিয়ে মনের সুখে চা পান করছেন আর টিভি দেখছেন। মুখে মাস্ক ব্যবহার করছে না অনেকেই। স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই বললেই চলে গ্ৰামঞ্চালের মানুষের মধ্যে। এসব এলাকায় মাঝে মাঝে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা  টহল দিলেও  তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে মুহূর্তে দোকান পাট বন্ধ করে চলে যাচ্ছে দোকানদারেরা। দৌড়ে পালাচ্ছে ক্রেতা বিক্রেতারা।কেউ কেউ আবার শাটার লাগিয়ে দোকানের ভিতর বসে থাকতে দেখা গেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল চলে গেলে আবারও দোকানপাট খুলে বেচাকেনা করছে। এ যেন প্রসাশনের সাথে নতুন খেলায় মেতে ওঠেছে  জনগণ।

যাত্রীর সংখ্যা কম থাকলেও রিকশা, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চলছে হরদম।  সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের পর দেখা যায়  সোমবার ও মঙ্গলবার চিত্র আরো ভিন্ন। দোকানপাট অর্ধেক সাটার ফেলে সামনে দুই একজন দাড়িয়ে থাকে আর ভেতরে বেচাকেনা করতে দেখা গেছে। কঠোর বিধিনিষেধর বেঁধে দেয়া নির্দিষ্ট ৭ দিনের মধ্যে যতই দিন যাচ্ছে ততই কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x