ময়মনসিংহের ত্রিশালে কালো টাইগার কে দেখার জন্য ভির জমাচ্ছে এলাকাবাসী। দুয়ারে কড়া নাড়ছে কোরবানির ঈদ। কোরবানির পশু নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের আগ্রহ এখন চরমে। তাই করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও থেমে নেই পশুপালন বা বেচা-কেনা।
প্রতি বছর কোরবানির ঈদের আগে ওজন এবং দামে আলোচনায় উঠে আসে নানা বাহারি নামের গরু। এবার সেই তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌর এলাকার কালো টাইগারের।
ফ্রিজিয়ান জাতের এ ষাঁড়টি গত চার বছর ধরে লালন পালন করে আসছেন ত্রিশাল উপজেলার পৌর ৬ নং ওয়ার্ড নওধার নদীরপাড় এলাকার নজরুল ইসলাম।
আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে আকর্ষণীয় এ ষাঁড়টিকে দেখতে প্রতিদিনই নজরুল ইসলামের বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন উৎসুক জনতা। ষাঁড়টির ১২ লাখ টাকায় বিক্রির প্রত্যাশা করছেন নজরুল ইসলাম। কালো টাইগার ছাড়াও তার খামারে আরও ১৫টি গরু রয়েছে। সবগুলো গরু ঈদ উপলক্ষে বিক্রির জন্য তৈরি করা হয়েছে।
করোনার কারণে এবারের কোরবানির ঈদে দেশের বাইরে থেকে গরু আসার সুযোগ থাকছে না। তাই খামারিরা কোরবানির পশুর যথাযথ মূল্য পাবেন বলেই আশা করছেন। তবে করোনার কারণেই খামারিরা বড় গরুর যথাযথ মূল্য পাবেন কি না তা এখন তাদের তাই চিন্তার বিষয়।
কালো টাইগারের মালিক নজরুল ইসলাম জানান, কালো টাইগার আমার পালিত গাভীর বাচ্চা শখের বশে আদর-যত্ন ভালোবাসা দিয়ে লালন-পালন করায় তার সঙ্গে আমার গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আমি ডাকলে বোবা প্রাণী কালো টাইগার আমার দিকে ছুটে আসে।
এবার কোরবানির ঈদে কালো টাইগারকে আশা রাখি ১২ থেকে ১৪ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারব। কালো টাইগারের খাবারের জন্য প্রতিদিন দেড় থেকে দুই হাজার টাকা ব্যয় করতে হয়। কৃত্রিম কোনো কিছু ব্যবহার করা হয় না। প্রাকৃতিক খাদ্য খৈল, ভুট্টা, ভুষি, কলা, ভাত ও খড়-ঘাস খাওয়ানো হয়।
পশু চিকিৎসক হামিদ জানান, কালো টাইগারকে আমি নিয়োমিত চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে ষাঁড়টিকে লালন-পালন করা হচ্ছে।
… [Trackback]
[…] Info to that Topic: doinikdak.com/news/31549 […]
… [Trackback]
[…] Find More Info here to that Topic: doinikdak.com/news/31549 […]