অবশেষে সেই বহু প্রতীক্ষিত ট্রেন নামীয় স্বপ্নশকটের ঝন ঝনা ঝন সিম্পনী যুক্ত হতে চলছে। আর স্বপ্ন নয়,বাস্তবতার নিরেট দৃশ্যমান।
ট্রেন শুধু পরিবহন বা যোগাযোগের মাধ্যম নয়। সভ্যতার ক্রমবিকাশে ও বিবর্তনে ট্রেন একদিকে যেমন দিয়েছে বেগ এবং আবেগ, তেমনি অন্যদিকে তৈরী করেছে সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন। এটি এক স্থান থেকে অন্যস্থানে বয়ে নিয়ে গেছে উন্নয়ন,সমৃদ্ধি,সংস্কৃতি, কৃষ্টিকালচার, আবেগ, ভালবাসার, মৈত্রী ও পরিবর্তনের পয়গাম। তাইতো সাহিত্যে, রাজনীতিতে,অর্থনীতিতে,বৈশ্বিক সম্প্রীতির যোগসূত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে ট্রেনের ভূমিকা সর্বজনবিদিত। একটি দেশের ট্রেন যোগা যোগ ব্যবস্থার চিত্র সেই দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিও সমৃদ্ধির সাফল্যগাঁথা বলে দেয়।
ট্রেনে করে কক্সবাজার হয়ে চট্টলা যাওয়ার স্বপ্ন অনেকের। তবে সেই স্বপ্ন দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার এর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে খুশি মানুষজন। এলাকার লোকজন রেললাইনের কাজের অগ্রগতি দেখে উৎফুল্ল। দ্রুত সময়ে ট্রেনে করেই কক্সবাজারে আসা যাওয়া করতে পারবে।
ঈদগাঁওর মাছুয়াখালীর ইউসুফ জানান, দ্রুতগতিতে ট্রেন আসছে এ শহরে। বর্তমান সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে যাচ্ছে। এখন রেল লাইনে পাঠাতন বসতে দেখেই ভাল লেগেছে।
ইসলামপুরে আনোয়ারুল আজম খোকন জানান, যোগাযোগের ক্ষেত্রে এবার সড়ক পথের পাশাপাশি রেল পথের নির্মান কাজ ও দ্রুতগতিতে এগুচ্ছে। অল্পসময়েই রেল নিয়ে কক্সবাজারের লোকেরা চট্রগ্রাম যাবে এমনটাই আশাবাদী। সকাল-বিকাল রেল লাইন সববয়সী লোকজনের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
ঈদগাঁওর ইমরান তাওহীদ, ইসলামাবাদের আশফাক উদ্দিন আরাফাত জানান, স্বপ্নের রেল অতি নিকটে। কল্পনাও করিনি, দূর্বার গতিতে কাজ শেষ হবে। সত্যি ট্রেন আসবে এই শহরে।
সচেতন লোকজন জানান, বর্তমান সরকার উন্নয়নমুখী। সড়কে যানবাহনের পাশাপাশি আরেক পাশে স্থাপিত হচ্ছে রেল লাইন। পাঠাতনের কাজ শেষে বাকী অংশের কাজ শেষ হলেই ট্রেন বাস্তবায়ন। স্বপ্ন স্বার্থকতার পথেই। রেল লাইন নির্মানকারীদের সাধুবাদ
রেললাইন চালু হলে যোগাযোগ হবে সহজ তর,এলাকা পরিবর্তন হবে, জায়গা জমির দাম বৃদ্বি পাবে, অর্থনৈতিক জোন সম্ভবনা বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা।