কুগ্রিামের রৌমারীতে পরকীয়া প্রেমের জের ধরে এরশাদুল ইসলাম (৩০) নামে একজন নিহত ও মাসুদ রানা (২০) নামের এক যুবককে  গুরুতর আহতের ঘটনা ঘটেছে। আহত মাসুদকে উদ্ধার করে রৌমারী  হাসপাতালে আনা হলে অবস্থা  আশংকাজনক  হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। নিহত এরশাদুল ইসলামের মরদেহ   উদ্ধার করে থানায় আনে  রৌমারী থানা পুলিশ।

নিহত এরশাদুল উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের খেয়ারচর গ্রামের সুরুজ্জামানের ছেলে। আহত মাসুদ রানা একই গ্রামের ইন্না পাগলের ছেলে  বলে জানাগেছে। অপরদিকে ঘাতক শিহাব একই গ্রামের লিটনের ছেলে। রবিবার রাত ৮টা দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের খেয়ার চরের দক্ষিনে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, নিহত এরশাদুল দীর্ঘদিন যাবৎ তার চাচাতো শ্যালক রাশেদুলের স্ত্রী লিমার সাথে পরকিয়ায় লিপ্ত ছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হলে লিমার ছোটভাই শিহাব ক্ষিপ্ত হয়ে ধাড়ালো ছুড়ি গলায় ঢুকিয়ে আঘাত করলে ঘটনাস্থলে নিহত হন এরশাদুল। অপরদিকে এরশাদুলের সঙ্গে থাকা মাসুদ রানা তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তাকেও হাতে থাকা ছুরি দিয়ে এলোপাথারি  আঘাত করতে থাকে   খুনি শিহাব। এসময় মাসুদ রানার আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে মাসুদকে  উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করান। অবস্থা  আশংকাজনক  হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করে রৌমারী থানায় নিয়ে আসে রৌমারী থানা  পুলিশ।

এ ব্যাপারে রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোন্তাছের বিল্লাহ জানান, এ ঘটনায় নিয়মিত মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।