পর্তুগালে সরকার এবং ক’রো’না ভ্যাকসিন টাস্কফোর্স দেশের সব নাগরিকের পাশাপাশি অনিয়মিত অভিবাসীদের দ্রুততম সময়ে ক’রো’না ভ্যাকসিন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার জন্য বিভিন্ন প্রক্রিয়া মূল্যায়ন করছে।
সেই লক্ষ্যে অনিয়মিত অভিবাসীদের টিকা প্রদান করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যদিও ইতোমধ্যে ফ্রন্টলাইন হিসেবে অনিয়মিত অভিবাসীরা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন।
গতকাল সোমবার টাস্কফোর্সের সমন্বয়কারী ব্যক্তিরা স্থানীয় সংবাদমাধ্যম লুসাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। উল্লেখ্য, পর্তুগালে নিয়মিত বসবাসকারী এবং দেশের নাগরিকদের প্রত্যেকের একটি স্বাস্থ্য নম্বর থাকে এবং উক্ত স্বাস্থ্য নম্বরের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হয়। যদিও অনিয়মিত অভিবাসীরা উক্ত স্বাস্থ্য নম্বর ছাড়াও স্বাস্থ্য সেবা পেয়ে থাকেন। তবে বর্তমানে ব্যত্যয় ঘটেছে; যেহেতু ভ্যাকসিন কার্যক্রমটি একটি প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্পন্ন কর হচ্ছে। স্বাস্থ্য নম্বর বাদে অনিয়মিত অভিবাসীদের ক্ষেত্রে একটি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। এ সমস্যার সমাধানে টাস্কফোর্স বিষয়টি দ্রুত মূল্যায়ন করছে।
অনিয়মিত অভিবাসীদের টিকা প্রদান সম্পর্কে পর্তুগালের করোনা টিকা কার্যক্রমের টাস্ক ফোর্সের প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল হেনরিক গুউভিয়া ই মেলো বলেছিলেন- জাতীয় অঞ্চলে বসবাসকারী লোকদের আমরা কোনোভাবেই টিকা কার্যক্রমের বাইরে রাখতে পারি না এবং আমরা কোনোভাবেই তাদের সাথে স্বার্থপর আচরণ করতে পারি না।
পর্তুগালে বর্তমানে চল্লিশোর্ধ ব্যক্তিদের টিকা প্রদান করার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট উন্মুক্ত হয়েছে এবং যাদের স্বাস্থ্য নম্বর রয়েছে তারা খুব সহজেই অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারছেন। যাদের স্বাস্থ্য নম্বর নেই তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লিংকের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে পারছেন।
পর্তুগালে বসবাসকারী অনিয়মিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাথে কথা বললে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন জানিয়েছেন, তারা মানসিকভাবে কিছুটা দ্বিধা এবং জটিলতার মধ্যে ছিলেন; যেহেতু তাদের স্বাস্থ্য নম্বর নেই তারা কীভাবে টিকা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন। তবে তাদের আস্থা ছিল পর্তুগাল সরকারের প্রতি এবং তার বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। তাই তারা পর্তুগাল সরকার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
পর্তুগালে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সর্বমোট ৬৬ লাখ ৬৫ হাজার ৯৭৫ জন করোনা টিকা গ্রহণ করেছেন; যা দেশের মোট জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশের চেয়েও বেশি; তবে এরই মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৪৩ লাখ ৮৭ হাজার ৬৯১ জন এবং পূর্ণ ডোজ নিয়েছেন ২২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৪ জন।