অনাহারী মানুষের মূখে বিনামূল্যে খাবার তুলে দিয়ে মানবতার সেবায় সাড়া জাগানো সংগঠন “স্বপ্নপূরণ বাংলাদেশ” এর ২০২১-২০২২ মেয়াদের চূড়ান্ত কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ জুন) সকাল ১০টার সময় ঢাকা থেকে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আকাশ শিকদার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

এর মাধ্যমে আরেক ধাপ এগিয়ে গেলো বিনামূল্যে খাবার বিতরণ কারী এই সংগঠনটি। সাত সদস্যর পূর্নাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটিতে যারা আছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন- প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি- আকাশ শিকদার, সাধারণ সম্পাদক- হুমায়ুন কবির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক- বেল্লাল হোসেন নাঈম, কোষাধ্যক্ষ ও দপ্তর সম্পাদক- শারমিন শিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক- দেলোয়ার হোসেন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক- শেখ লাভলু, তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক- সুমি আক্তার।

২৪ এপ্রিল ২০২১ ইং তারিখে ১৭ই রামাদান ঢাকায় ২০ জন গরিব অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণের মাধ্যমে এই সংগঠনের যাত্রা শুরু করে। এর উদ্দেশ্য গরিবের মাঝে বিনামূল্যে খাবার বিতরণ করা । এরই ধারাবাহিকতায় পর্যায়ক্রমে গত ২৭ই রামাদান ২য় ধাপে ৩০ জনকে  ইফতার বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হয় কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার পুলেরঘাট এলাকায় এবং ৩য় ধাপে ২৮ই রামাদান ঢাকার হাজারীবাগ ও রায়েরবাজার এলাকায় ৬০ জন গরীব ও পথ শিশুদের মাঝে বিনামূল্যে খাবার বিতরণ করা হয়। সর্বশেষ ৪র্থ ধাপে ঢাকার বসিলার ঘাটারচর ও ওয়াশপুর এলাকায় গরিব ৫০ টি পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হয়। আর এর মাধ্যমেই ৫০ জনের মাঝে ইফতার, ৬০ জনের মধ্যে খাবার ও ৫০ টি পরিবার মাঝে ২০০ জনের জন্য ২ দিনের ঈদের খাবার বিতরণ সম্পুর্ন করে সংগঠনটি। এছাড়াও ঈদের পরেও এই সংগঠন ৫০ জন ছিন্নমূল  পথশিশুর মধ্যে খাবার বিতরণ সম্পুর্ন করে ।

স্বপ্নপূরন বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা আকাশ শিকদার জানান, আমাদের এই বিনামূল্যে খাবার বিতরণ সব সময় অনাহারী গরিব অসহায় মানুষের জন্য চালু থাকবে। আমরা আল্লাহর অশেষ রহমতে আমাদের এই সেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রতিষ্ঠার ১ মাসের মধ্যে ৩৬০ জন অনাহারীর মুখে আহার তুলে দিতে সক্ষম হয়েছি।

যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ বেল্লাল হোসেন নাঈম বলেন, স্বপ্নপুরন বাংলাদেশ একটি স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন “এক টুকরো হাসির খোঁজে” স্বপ্নপূরন বাংলাদেশ। আমাদের সংগঠনের উদ্যোগে সারাদেশে ছিন্ন মূল অসহায় দুঃস্থ মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়া।

গত ২৪ মে ২০২১ ইং তারিখে আমাদের ১ মাস পূর্ণ উপলক্ষে আমরা ২৫ টি পরিবার মাঝে ১০০ জনের ২ দিনের খাবার সামগ্রী বিতরণ করেছি। এছাড়াও ৩০ মে ঢাকায় বিভিন্ন জায়গায় ৪২ জন গরিব পথশিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়। এছাড়াও সর্বশেষ ১১ই জুন ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে ৫৬ জন পথাশিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ করে সংগঠনটি। তিনি আরো জানান, তারা যাদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন সে সময় বিতরণের কোন ছবি তারা তোলেন না এবং ফেসবুকেও আপলোড করেন না। কারন সংগঠনের উদ্দেশ্যেই হচ্ছে  অনাহারীর মূখে আহার তুলে দেয়া কাউকে ছোট করা বা কোনভাবে ব্যবসায়ীক উদ্দেশ্যে হাসিল করা নয়। তিনি অসংখ্য ধন্যবাদ জানান স্বপ্নপূরন বাংলাদেশ এর সকল শুভাকাঙ্ক্ষী, সেচ্ছাসেবী, উদ্দোক্তা ও পৃষ্ঠপোষকসহ সকলকে।