ঢাকা, বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ০৭:২০ পূর্বাহ্ন
রাজশাহী কঠোর লকডাউন, নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে র‌্যাব-পুলিশের অবস্থান
দৈনিক ডাক অনলাইন ডেস্ক

রাজশাহীতে সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হয়েছে। নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের।

শুক্রবার বিকেল ৫টার আগে থেকেই মোড়ে মোড়ে মাইকিং করে বাইরে থাকা লোকজনকে দ্রুত বাড়িতে চলে যেতে বলা হয়। আর ৫টার পর থেকে শুরু হয় কড়াকড়ি। বন্ধ করে দেয়া হয় শহরে প্রবেশের সকল রাস্তা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে শহরমুখী যাত্রীরা। ফলে বিকল্প রাস্তা দিয়ে শহরে প্রবেশ করতে হয় তাদের।

সর্বাত্মক লকডাউনকে কেন্দ্র করে বিশেষ প্রস্ততি গ্রহণ করেছে প্রশাসন। পুলিশের বিভিন্ন টিম নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে টহল দিচ্ছেন। একইসঙ্গে মাইকিংও করছেন।

পুলিশ কাটাখালি চিনিকল, নওদাপাড়া আমচত্বর, কাশিয়াডাঙ্গাসহ কয়েকটি পয়েন্টে কঠোরভাবে অবস্থান নেয়। উপজেলা থেকে শহরমুখী সকল যানবাহন ফিরিয়ে দেন তারা। সিএনজি ও অটোরিকশাযোগে শহরে ঢুকতে থাকা যাত্রীরা পড়েন চরম দুর্ভোগে। অনেক যাত্রী পুলিশকে অনুরোধ করে প্রবেশের চেষ্টা করেও ঢুকতে পারেননি।

সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট ও শহরের প্রবেশদ্বারগুলোতে বেশি কড়াকড়ি ছিল প্রশাসনের। বিকেল ৫টার দিকে নগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্ট এলাকায় লকডাউন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গিয়ে আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক বলেন, ‘সিদ্ধান্ত হয়েছে সাতদিন কঠোর লকডাউন হবে। লকডাউন মানে লকডাউন। আমরা চাই একটা কমপ্লিট লকডাউন।’

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১০ জুন) রাত ১০টার দিকে রাজশাহী নগরীতে সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা দেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. হুমায়ুন কবীর। আগামী ১৭ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত এ লকডাউন কার্যকর হবে।

এর আগে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাজশাহীতে দুদফা বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল জেলা প্রশাসন। কিন্তু সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় সর্বাত্মক লকডাউন দেয়া হলো। বিভাগের মধ্যে রাজশাহী জেলাতেই এখন সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছেন। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিনই করোনায় দশ পনেরজন করে মারা যাচ্ছেন রাজশাহী মেডিকেলে। হাসপাতালেও ফুরিয়েছে করোনা রোগী রাখার জায়গা।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x