দিনাজপুরের বীরগঞ্জের ভোগনগর ইউনিয়নের তাজুল উলুম এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে রাতের খাবার খেয়ে ৬০ ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বুধবার রাতেই তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন অসুস্থ ছাত্রদের অভিভাবকরা।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের ছাড়পত্র প্রদান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান (মুহতামিম) মো. আব্দুর রাকিব।
তিনি জানান, প্রতিষ্ঠানে রান্না শেষে আনুমানিক রাত সাড়ে ৯টায় ধারাবাহিকভাবে খেতে দেওয়া হয় ছাত্রদের। খাবার খাওয়ার পর ছাত্রদের মাথা ও পেটব্যথা এবং বমি বমি ভাব শুরু হয়। সংখ্যা বাড়তে থাকলে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে বিষয়টি লিখিতভাবে বীরগঞ্জ থানাকে অবহিত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন প্রতিষ্ঠানের হেফজ শাখার ছাত্র নয়ন মনি (১৬) জানান, খেতে বসে খাবার গন্ধ এবং তিতা অনুভব হয়। পরে খাবার শেষ না করেই উঠে পড়ি। কিছ্ক্ষুণ পর মাথা ও পেটব্যথা শুরু হয়। পরে বমি বমি ভাব এবং দুর্বল লাগতে শুরু করে। চিকিৎসা নেওয়ার পর এখন সুস্থ মনে হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সুজয় চক্রবর্তী বৃহস্পতিবার সকালে গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। চিকিৎসাসেবার পর সবাই এখন আশঙ্কামুক্ত। এদের মধ্যে ৫ জনকে ভর্তি রেখে বাকিদের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
রাতে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তানভির তালুকদার জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় দিকে পেট ও মাথাব্যথা এবং বমি বমি ভাব নিয়ে এতিমখানার ছাত্ররা আসতে শুরু করে। আমরা তাদের ভর্তি নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসাসেবা শুরু করি।
৫০ শয্যার হাসপাতালে ৬০ শিশুর এ পরিস্থিতি দেখে পূর্বে ভর্তি থাকা ৩০ জন রোগী তাদের সিট ছেড়ে দিয়ে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বলে তিনি জানান।
বীরগঞ্জ থানার এসআই মো. রেজাউল করিম জানান, প্রতিষ্ঠানের পক্ষে লিখিতভাবে অবহিত করার পর আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এটি পরিকল্পিত কিনা এ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল কাদের জানান, বিষয়টি জানার পর হাসপাতালে গিয়ে ছাত্রদের সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি চাইলে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।
Hi there mates, pleasant article and pleasant arguments commented at this place, I am actually enjoying by these.