ঢাকা, বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ১২:৫৮ অপরাহ্ন
নোয়াখালীতে ৭ দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা
মোঃ বেল্লাল হোসেন নাঈম, স্টাফ রিপোর্টার

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় নোয়াখালী পৌরসভা ও সদরে উপজেলার ৬ ইউনিয়নে শনিবার (৫ জুন) থেকে এক সপ্তাহ লকডাউন ঘোষণা করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান।

শুক্রবার (৪ জুন) বিকেল ৪টায় জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শনিবার (৫ জুন) সকাল ৬টা থেকে ১১ জুন (শুক্রবার) রাত ১২টা পর্যন্ত সাতদিনের এ লকডাউন শুরু হবে।

জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী।

জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম খান বলেন, জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি সভায় সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে জেলাবাসীকে সুরক্ষা দেওয়ার স্বার্থে, সদর উপজেলায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় নোয়াখালী পৌরসভা সহ ৬ টি ইউনিয়নে লকডাউন ঘোষণায় দেওয়া হয়েছে।

এলাকাগুলো হলো, নোয়াখালীর সদর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও নোয়াখালী পৌরসভার সব কয়টি ওয়ার্ড। ইউনিয়ন গুলো হলো, ৩নং নোয়ান্নই, ৪নং কাদির হানিফ, ৫ নং বিনোদপুর,৬ নং নোয়াখালী, ১০ নং অশ্বদিয়া ও ১১ নং নেয়াজপুর।

তিনি বলেন, এই সাত দিন যেসব মানুষ কষ্ট পাবেন, তারা জীবনের কথা ভেবে, বেঁচে থাকার কথা ভেবে এটিকে মেনে নেবেন। সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। তাদের সম্মতি রয়েছে। জেলার সংসদ সদস্যবর্গ বিষয়টি অবহিত আছেন। নিজেদের সুরক্ষার জন্য সর্বোচ্চ পর্যায়ে লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য যা যা করণীয় সবকিছু করা হবে।

তিনি আরও বলেন, নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলায় থেকে দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ থাকবে। সিএনজিচালিত অটোরিকশায় দুজন করে যাতায়াত করবে। তবে জরুরি সেবা বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, ইন্টারনেট, চিকিৎসা সেবা, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী পরিবহন কাজে নিয়োজিত যানবাহনের পরিসেবা চালু থাকবে।

সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালী পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়নের প্রবেশ পথে লাল পতাকা টানিয়ে দেয়া হয়েছে।  করোনা ভাইরাস যাতে বিস্তার না করে সেই জন্য কাউকে প্রবেশ বা বের হতে নিষেধ করে মাইকিং করা হবে।

আরো উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার, পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সামছুদ্দিন জিহান সহ প্রমূখ।

উল্লেখ্য,জেলার সদর উপজেলায় করোনায় আক্রান্তের হার সব চেয়ে বেশি। এই উপজেলা করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৩হাজার ১৪০জন। বর্তমান পরিস্থিতিতে শনাক্ত ব্যক্তিদের বাড়ি লকডাউন করার কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x