ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১৯ পূর্বাহ্ন
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পরার আশঙ্কা
আরিফুল ইসলাম জয়, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

‘রোদে গরমে কাজ করি আল্লাহ’র রহমতে আমাগো করোনার কোন ভয় নাই, করোনা আমাগো হবো না।’ এমনি ধারণা কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দরের শ্রমিক নজরুল ইসলামের। একই কথা জানালেন অন্যান্য শ্রমিকরাও। এখানে শ্রমিকরা গরম এবং কষ্টকর কাজের দোহাই দিয়ে কাজের সময় এবং বিরতিকালীন সময়েও মাস্ক ব্যবহার করেন না। স্বাস্থ্যবিধি না মানা এবং ভারতীয় শ্রমিকদের সাথে অবাধে মেলামেশার কারণে ভারতীয় করোনা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পরার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে এই অঞ্চলে।

সোনাহাট স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন এই বন্দরকে ঘিরে প্রায় ৩হাজার বাংলাদেশী শ্রমিক কাজ করে। আর এই বন্দরে প্রতিদিন ভারত থেকে একশ থেকে দেড়শ পণ্যবাহী ট্রাক আসা যাওয়া করে। এই ট্রাকের চালক ও হেলপারদের কোন ধরণের চেকআপ করা হয় না। তারা পণ্য নিয়ে এসে বাংলাদেশী শ্রমিকদের সাথে অবাধে মেলামেশা করে। হোটেলগুলোতে একসাথে বসে পানাহার করে। বেশিরভাগ ভারতীয় চালক ও হেলপাররা মাস্ক ব্যবহার করেন না। ফলে মারাত্মক করোনার ঝুঁকিতে রয়েছে এই এলাকার লোকজন।

এ ব্যাপারে ভারত থেকে পণ্য নিয়ে আসা আসাম রাজ্যের ধুবড়ি জেলার ছাগুলিয়া গ্রামের ড্রাইভার ইমরান জানান, “হাম লোক উধার মে চেক কিয়া। এধার হামলোক কো চেক কিয়া। বাঙগাল হোটেল মে খানা খিলায়া। মাস্ক হে না সাথ মে। দো-দো মাস্ক হে হামারা পাচ মে। বহুত গারমি হেয় না। একলা ঘুরনাহু। এলিয়ে নেহি মুখ মে।”

সোনাহাট স্থল বন্দরে গিয়ে দেখা যায়, ভারত থেকে সারি সারি পণ্যবাহী ট্রাক সীমান্ত গলিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। বন্দরের জিরো পয়েন্টে কোন মেডিকেল অফিসার বা স্বাস্থ্য সহকারী নেই। রফিকুল ইসলাম নামে একজন ভাড়ায় নিযুক্ত কর্মী চেকপোস্টে ভারতীয় ড্রাইভারদের কাগজপত্র ও শরীরে স্প্রে করছে। তাদের তাপমাত্রা পরিমাপ করে ছেড়ে দিচ্ছে। এরপর এই শ্রমিকরা সরাসরি বাংলাদেশে প্রবেশ করে এদেশের লোকজনের সাথে অবাধে মেলামেশা করছে। ফলে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট এদের মাধ্যমে বাংলাদেশে ছড়িয়ে পরার আশঙ্কা করছেন ভূরুঙ্গামারী উপজেলা বাসী।

ভারতে কি ধরণের চেক আপ করা হয় তা আমাদের জানা নেই। বাংলাদেশে ভারতীয় চালকদের কোয়ারেন্টিন রেখে পণ্য আনা নেয়া করা হচ্ছে না। বাংলাদেশী শ্রমিক ও স্থানীয় মানুষদের সাথে তারা মেলামেশা করছে। পাশাপাশি অবস্থান করছে। এতে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট এই অঞ্চলে ছড়িয়ে পরার সমূহ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ বিষয়টি স্বাস্থ্য বিভাগের জরুরী ভাবে দেখা উচিৎ।

এ ব্যাপারে ভূরুঙ্গামারী সোনাহাট স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, দেশে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় ঝুঁকিতে রয়েছে এই স্থলবন্দর। ভারতীয় ট্রাক চালকদের আসার ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিধি মানার উপর নজরদারী রয়েছে। এই বিষয় নিয়ে শ্রমিক সংগঠনসহ বন্দর সংশ্লিষ্টদের সজাগ করার পাশাপাশি তাদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্নভাবে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সরকারিভাবে বন্দরের শ্রমিকদের কোভিড-১৯ এর নমুনা সংগ্রহ করে শতভাগ নিশ্চিত হতে কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান তিনি।

One response to “কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পরার আশঙ্কা”

  1. Obtener acceso a información secreta puede darle una ventaja comercial sobre sus competidores y, gracias a los avances tecnológicos, espiar ahora es más fácil que nunca. https://www.xtmove.com/es/how-to-hide-spy-tape-recorder-at-home-to-eavesdrop-conversations/

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x