করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সারাদেশে চলছে কঠোর লকডাউন। রাস্তার মোড়ে মোড়ে সতর্ক অবস্থানে প্রশাসন। কিন্তু এরপরেও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অনেকেই বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন। হাটবাজার গুলোতে দেখা গেছে মানুষের অবাধ বিচরণ।
আজ (৭জুলাই) বুধবার রংপুর নগরীর পৌরবাজার, টার্মিনাল রোড, আর.সি.সি মোড় এলাকায় দেখা যায়, মানুষ অহেতুক ঘোরাঘুরি করছে। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বাড়ছে।
এছাড়া বাজার ছাড়াও আরো অনেক জায়গায় দেখা যায়, দোকান পাট বন্ধ থাকার কথা থাকলেও সুযোগ বুঝে দোকানের সাটার খুলে ঠিকই বেচাকেনা চলছে।সন্ধ্যা নামলেই সেখানকার মানুষেরা আড্ডায় মেতে উঠছেন। দোকানগুলোতে চলছে চা-সিগারেট বিক্রির ধুম। তাঁদের মাঝে সচেতনতা নেই বললেই চলে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক কর্মকর্তা বলেন, লকডাউনের এই ১৪ দিন যদি আমরা ঘর থেকে বের না হই। তাহলে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে আসবে। তাই সাধারণ মানুষ অযথা জটলা বেঁধে আড্ডা না দিয়ে ঘরের ভেতরে থাকাটা এখন খুব জরুরি।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারি কমিশনার ((ডিবি এন্ড মিডিয়া) ফারুক আহমেদ বলেন, আমরা সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে কিছু লোক অযথা ঘোরাঘুরি করছে। তবে সচেতন লোকেরা ঠিকই নাগরিক দায়িত্ব পালন করে আমাদের সহযোগিতা করছে। তারা নিজেরাও বাড়িতে থাকছে এবং অন্যকেও বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, মেট্রোপলিটন পুলিশের ৬ থানা ও ট্রাফিক বিভাগ বিধিবহির্ভূতভাবে চলাচলরত বিভিন্ন যানবাহনের বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইনে ৯৬টি এবং সেনাবাহিনীর টহল দল, র্যাবের টহল দল ও বিজিবি টহল দল যৌথভাবে লকডাউনের বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে ৯টি মামলা দায়ের করে। এতে ভ্রাম্যমাণ আদালত ২ লাখ ৭৪ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করে। একইসঙ্গে ১১টি যানবাহন আটক করা হয়।