ঢাকা, শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২৬ অপরাহ্ন
২০ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি: চূড়ান্ত আবেদন আগামীকাল পর্যন্ত
Reporter Name

গুচ্ছভুক্ত ২০টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত আবেদন গ্রহণ শেষ হবে আগামীকাল মঙ্গলবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে। ভর্তি পরীক্ষায় বসার জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীদের এ সময়ের মধ্যে আবেদন করতে হবে। পরদিন বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত পেমেন্ট করার সুযোগ দেওয়া হবে। আবেদনের সময় না বাড়ানো সিদ্ধান্ত নিয়েছে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সমন্বয়ে গঠিত কোর কমিটি। এরপর ওই দিনই বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় দফায় মনোনীত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ হবে।

২০ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দীন আহমেদ এসব কথা জানান।

উপাচার্য ফরিদ উদ্দীন আহমেদ বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মনোনীত শিক্ষার্থীরা আবেদন না করলে তাঁরা পরে আর আবেদন করার সুযোগ পাবেন না। বিজ্ঞান বিভাগে চূড়ান্ত আবেদনের নির্ধারিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা পূরণ না হওয়া সাপেক্ষে পরবর্তী সময়ে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে। দ্বিতীয় দফায় নির্বাচিত এ শিক্ষার্থীরা ৮ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চূড়ান্ত আবেদন করার সময় পাবেন।

উপাচার্য আরও বলেন, ‘সময় না বাড়ানোর জন্য আমরা অফিশিয়ালি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শিক্ষার্থীদের শেষ দিনের অপেক্ষায় না থেকে দ্রুত আবেদনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করার অনুরোধ করব।’

সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক ও বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য মুনাজ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আবেদনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। পরদিন ৮ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা পর্যন্ত পেমেন্ট করার সুযোগ দেওয়া হবে।

উপাচার্য বলেন, এরপর মনোনীত শিক্ষার্থীদের আবেদন করার সুযোগ ব্লক করে দেওয়া হবে। প্রথম দফায় মনোনীত শিক্ষার্থীরা আর আবেদন করার সুযোগ পাবেন না। এর দুই ঘণ্টার মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের পরবর্তী দ্বিতীয় দফায় মনোনীত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশের চেষ্টা করা হবে।

অক্টোবরের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে

ভর্তি পরীক্ষা কবে অনুষ্ঠিত হতে পারে—এমন প্রশ্নে উপাচার্য বলেন, ‘পরিস্থিত স্বাভাবিক থাকলে শিগগিরই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রাথমিকভাবে আমরা পরিকল্পনা করেছি অক্টোবরের মধ্যেই ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে নেওয়ার। আমরা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ দেব, যেন শিক্ষার্থীরা সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা নিতে পারে।’

২০ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি: চূড়ান্ত আবেদন আগামীকাল পর্যন্ত

উল্লেখ্য, সম্প্রতি সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার জন্য এ বছর মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের যেসব শিক্ষার্থী প্রাথমিকভাবে আবেদন করেছেন, তাঁদের সবাই চূড়ান্ত আবেদন করার সুযোগ পেয়েছেন। তবে বিজ্ঞান বিভাগে আবেদনের সংখ্যা বেশি হওয়ার ১ লাখ ৩১ হাজার শিক্ষার্থী চূড়ান্ত আবেদন করার জন্য মনোনীত হয়েছেন।

ভর্তি নির্দেশিকা অনুসারে, প্রাথমিক আবেদনের ফলাফল প্রকাশের পরে চূড়ান্ত আবেদনের জন্য নির্বাচিত আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের আবেদন সম্পন্ন করার ফি ১ হাজার ২০০ টাকা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের পছন্দের ক্রমানুসারে কমপক্ষে পাঁচটি পরীক্ষাকেন্দ্র সিলেক্ট করতে হবে। আবেদনকারী বর্তমানে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত থাকলে সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম ও অধ্যয়নের বিষয়সংক্রান্ত তথ্য দিতে হবে। আবেদনকারীর শিক্ষার্থীর ছবি বর্গাকার, হালকা এক রঙের ব্যাকগ্রাউন্ড ও ছবির সাইজ ১০০ কিলোবাইটের নির্ধারিত ফরম্যাটে থাকতে হবে।

ভর্তিসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে (https://gstadmission.ac.bd) পাওয়া যাবে।

ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন উচ্চমাধ্যমিকের ভিত্তিতে

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মোট তিনটি পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে একটি পরীক্ষা হবে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জন্য, আরেকটি মানবিকের জন্য এবং অন্যটি ব্যবসায় শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের জন্য। এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হলো অনলাইনে নয়, সরাসরি ভর্তি পরীক্ষা হবে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন হবে উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে।

এবার প্রথমবারের মতো ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে। গত শিক্ষাবর্ষে সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষির প্রাধান্য থাকা বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু করেছিল। গুচ্ছভিত্তিক পরীক্ষার মাধ্যমে একজন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী নিজ নিজ বিভাগে একটি পরীক্ষা দিয়েই যোগ্যতা ও আসন অনুযায়ী যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবেন।

গুচ্ছের বিশ্ববিদ্যালয়

যে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভিত্তিতে ভর্তির সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেগুলো হলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x