ঢাকা, বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ১১:০৯ পূর্বাহ্ন
শিক্ষার্থীর অকৃতকার্য হওয়ার ঘটনা শিক্ষা ব্যবস্থা সমস্যা: শিক্ষা উপমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদকচট্টগ্রাম

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, কোনো শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হলে কিংবা কম গ্রেড পেলে তা শিক্ষার্থীর দোষ নয়। এটি শিক্ষা ব্যবস্থার সমস্যা। কিন্তু শিক্ষার্থীদের ওপর দায় চাপিয়ে দেওয়া হয়। পরীক্ষা আর কোচিংয়ের খড়্গ চাপিয়ে শিক্ষার্থীর সুকুমার বৃত্তি নষ্ট করা হয়। এই চর্চা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড আয়োজিত ‘কোভিড পরিস্থিতি: শিক্ষার চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সভায় তিনি আরও বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কারিকুলামে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হবে। আগামী বছর পাইলট প্রকল্প নেওয়া হবে। পরের বছর তা বাস্তবায়ন করা হবে। এ জন্য শিক্ষকদের এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে, প্রশিক্ষণ নিতে হবে। পাঠদানের কৌশলও পরিবর্তন করতে হবে।

সভায় মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, পরীক্ষার ফলাফল নির্ভর মূল্যায়নের ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এ জন্য পরীক্ষা নির্ভর মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। অন্যান্য ধারাবাহিক মূল্যায়নও যুক্ত করা হচ্ছে। শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কম সময়ের মধ্যে সিলেবাসের বেশি অংশ কীভাবে শিক্ষার্থীরা আয়ত্তে আনবে তা নিয়ে ভাবতে হবে। আর আগামী দিনে অ্যাসাইনমেন্টের ব্যাপ্তি বাড়বে।

সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, দেশের শিক্ষা বোর্ডগুলো পরীক্ষা ও সনদ নির্ভর হয়ে গেছে। পরীক্ষা নেওয়া আর সনদ দেওয়া সহজ কাজ। আবার এখান থেকে কোটি কোটি টাকা আয়ও হয়। কিন্তু শিক্ষাবোর্ডের কাজ এটা না। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বিষয়ে গবেষণা করতে হবে।

শনিবারের সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, ‘যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলে তবে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত করতে হবে। কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া যাবে না। কোনো জায়গা থেকে যেন এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন না ওঠে। কোনো ধরনের অবহেলা যাতে না হয়। শিক্ষার্থীরা যখন আমাদের এখানে আসবেন, তখন দায়-দায়িত্ব আমাদের। খুঁটিনাটি সব বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে।’

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রদীপ চক্রবর্তী, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ, কলেজ পরিদর্শক জাহেদুল হক, বিদ্যালয় পরিদর্শক বিপ্লব গাঙ্গুলী, রাঙামাটি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ তুষার কান্তি বড়ুয়া, গার্হস্থ্য অর্থনীতি সিটি করপোরেশন কলেজের অধ্যক্ষ আলম আকতার, কলেজিয়েট স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. সিরাজুল ইসলাম, কাটিরহাট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিমুল মহাজন। বোর্ডের উপসচিব মোহাম্মদ বেলাল হোসেনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন বোর্ড সচিব আবদুল আলীম।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x