ঢাকা, শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১০ পূর্বাহ্ন
বিশ্বে একদিনে আরও সাড়ে ১০ হাজার মৃত্যু
দৈনিক ডাক অনলাইন ডেস্ক

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে আরও ১০ হাজার ৬৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ছয় লাখ ৭৭ হাজার ১৫০ জন। নতুন করে সুস্থ হয়েছেন পাঁচ লাখ ৫৩ হাজার ৫৪৫ জন।

শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪৫ লাখ ৫৭ হাজার ৮৪ জনে। শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ কোটি ৯৯ লাখ ৫৬ হাজার ৩৩৫ জনে। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ কোটি ৬৫ লাখ ৯৫ হাজার ৪৭৮ জন।

বিশ্বে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে এখনও বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে চার কোটি পাঁচ লাখ ১৩ হাজার ১৮ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ছয় লাখ ৬২ হাজার ৮৫৩ জন। সুস্থ হয়েছেন তিন কোটি ১১ লাখ ৯৯ হাজার ৮৩৫ জন।

সংক্রমণের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা তিন কোটি ২৯ লাখ দুই হাজার ৩৪৫ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন চার লাখ ৩৯ হাজার ৯১৬ জন। সুস্থ হয়েছেন তিন কোটি ২০ লাখ ৫৬ হাজার ৮৫ জন।

সংক্রমণের ওই তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে থাকা ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে শনাক্তের সংখ্যা দুই কোটি আট লাখ ৩০ হাজার ৭১২ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন পাঁচ লাখ ৮২ হাজার চারজন। সুস্থ হয়েছেন এক কোটি ৯৮ লাখ এক হাজার ৭২৫ জন।

সংক্রমণের তালিকায় এর পরের স্থানগুলোতে রয়েছে রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, তুরস্ক, আর্জেন্টিনা, ইরান, কলম্বিয়া, স্পেন, ইতালি।

সংক্রমণের তালিকায় এখন বাংলাদেশের অবস্থান ২৭ নম্বরে। এখন পর্যন্ত দেশে মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ সাত হাজার ১১৬ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২৬ হাজার ৩৬২ জন। আর করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ৮৮৫ জন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে।

সংক্রমণ চীন থেকে ছড়িয়ে পড়ার পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় ইউরোপের কিছু দেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে দেগুলোতে চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসা শুরু হয়। এর বিপরীতে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে ভারতসহ এশিয়ার কিছু দেশে। তবে ভারত থেকে ছড়িয়ে পড়া ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বেশ কিছু দেশের অবস্থা আবারও খারাপ হচ্ছে।

এরই মাঝে অব্যাহতভাবে টিকাদান চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের প্রায় সবগুলো দেশ। কোনো কোনো দেশ টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়াও শুরু করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x