বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) দেশে ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) মূল্য সমন্বয় করেছে। বেসরকারি খাতে ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজি মূসকসহ ৪০ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৩৩ টাকা করা হয়েছে। আগে যার দাম ছিল ৯৯৩ টাকা।
অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসি চেয়ারম্যান মো. আবদুল জলিল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আমদানি মূল্য বাড়ায় দেশের বাজারে বাড়ছে এলপিজির দাম, যা আগামীকাল বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে কার্যকর হবে।
তিনি আরও বলেন, নতুন করে দাম বাড়িয়ে ১২ কেজি এলপিজির মূল্য ১ হাজার ৩৩ টাকা নির্ধারণ করেছে বিইআরসি। এটি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য। আমদানি মূল্য কমলে দেশের বাজারে আবারো এলপিজির দাম কমবে।
কয়েকমাস ধরেই চড়া এলপিজির বাজার। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে সৌদি আরামকোর সঙ্গে সমন্বয় করে দেশের বাজারে এর দাম নির্ধারণ করা হয়।
উৎপাদন পর্যায়ে ব্যয় পরিবর্তন না হওয়ায় রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির এলপিজির দাম পরিবর্তন করা হয়নি। সরকারি পর্যায়ে সাড়ে ১২ কেজি এলপিজির দাম আগের ৫৯১ টাকাই থাকছে। অপরদিকে গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির নতুন দাম প্রতি লিটার ৫০ টাকা ৫৬ পয়সা।
বিইআরসির চেয়ারম্যান বলেন, বেসরকারি এলপিজির রিটেইলার পয়েন্টে ভোক্তা পর্যায়ে মূসক ছাড়া মূল্য প্রতিকেজি ৮০ টাকা ৫৬ পয়সা এবং মূসকসহ মূল্য প্রতিকেজি ৮৬ টাকা ৬০ পয়সা সমন্বয় করা হয়েছে। প্রতি ১২ কেজি বোতলজাত করা এলপিজির মূসকসহ মূল্য ১ হাজার ৩৩ টাকায় সমন্বয় করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এ দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরামকো। একে ভিত্তিমূল্য ধরেই দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি।
Leave a Reply