ঢাকা, সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫, ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন
কাস্টঘরের জল্লায় এবার চোখ পড়েছে ভূমিখেকো মনিন্দ্র চক্রের
সিলেট প্রতিনিধি

সিলেট নগরীর কাস্টঘর এলাকার চালিবন্দরে এবার চোখ পড়েছে ভূমিখেকো মনিন্দ্র রঞ্জন দে’র। তিনি রাতের আধাঁরে সন্ত্রাসীদের নিয়ে জমি দখল করে ঘর নির্মাণ এবং টিনের ঘর বানিয়ে বিভিন্ন এলাকার কোলোনীর লোকদের টাকার বিনিময়ে তাদের দিয়ে দখল টিকিয়ে রাখার পায়তারা করছেন। সম্প্রতি এমন একটি অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। তার নেতৃত্বে অ্যাডভোকেট মহানন্দ পাল, সুকেশ দাস, আবু সাইদ অভিসহ আরও কয়েকজন মিলে প্রায় ৪ একর ভূমি আত্মসাৎ ও জবদরখলের অপচেষ্টাও করছেন বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ১৫ নং ওয়ার্ডের সাবেক মহিলা কাউন্সিলর দিবা রানী দে বাবলীর স্বামী মনিন্দ্র রঞ্জন দে ।

সূত্র জানায়, ‘মনিন্দ্র রঞ্জন দে ভূমি জবরদখলের লক্ষ্যে ১৯৭৮ সালের একটি মামলার রায়ের কপি জাল-জালিয়াতি করে ২০১৬ সালে সিলেট সাব জজ দ্বিতীয় আদালতে তিনিসহ ৯৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় ভট্টাচার্য্য চৌধুরী নামের জনৈক ব্যক্তিকে বাদি করলে পরবর্তীতে আদালতে এসে সেই ব্যক্তি ওই মামলার বাদি ছিলেন না এবং ওই মামলার বিষয়ে কাউকে কোনো আমতোক্তারনামাও দেননি বলে স্বীকারোক্তি দেন এবং তার প্রকৃত নাম কাজল ভট্টাচার্য্য বলে জানান। সবকিছু মনিন্দ্র রঞ্জন দে’র প্রতারণা বলেও তিনি আদালতে জবানবন্দি দেন।

পরে মনিন্দ্র রঞ্জন এ মামলার ক্ষেত্রে আদালতের রেকর্ডীয় ৫০/১৯৭৮ ইংরেজি এর একটি মামলার কাগজপত্র জাল করে এই মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন।’

সূত্র আরো জানায়, ‘মনিন্দ্র রঞ্জন দে’র বিরুদ্ধে দেওয়ানি ও ফৌজদারি একাধিক মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে জাল টাকা ও পাসপোর্ট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত মর্মেও মামলা হয়েছিলো। পাশাপাশি ২০১১ সালে স্থানীয় এলাকাবাসী তার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবরে ৬৩ পৃষ্টার একটি অভিযোগও দাখিল করেছিল। এর সত্যতা পেয়ে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তার এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ডিও লেটার দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও তার দৌরাত্ম্য থামেনি এবং স্থানীয় প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

এসব অভিযোগ ছাড়াও মনিন্দ্র ২০০৭ সালে নিজেকে ভূমি ও গৃহহীন দাবি করে জেলা প্রশাসক বরাবরে তাকে অর্পিত সম্পত্তি বন্দোবস্ত দেয়ার দরখাস্ত করেন। মূল বিষয় হচ্ছে- মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে তিনি অর্পিত সম্পত্তি অবৈধভাবে ভোগদখলের পাঁয়তারা করছেন।’

মলিন্দ্র ও তার সহযোগীরা রাতের আধাঁরে জমি দখল করে ঘর নির্মাণ এবং টিনের ঘর বানিয়ে বিভিন্ন এলাকার কোলোনীর লোকদের টাকার বিনিময়ে তাদের দিয়ে দখল টিকিয়ে রাখার চেষ্ঠায় রয়েছেন। সম্প্রতি কাষ্টঘরের জল্লায় জমি দখল করে নগরীর তেরোরতন এলাকার মালেক মিয়ার কোলোনীর একটি ভাড়াটিয়া কালা রিপনের স্ত্রী নদী বেগম ও উপশহরের এইচ ব্লকের একটি কোলোনীর আবুনি নাম এক মহিলাকে দিয়ে দখল টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন।

এর আগে এই ভূমি আত্মসাতের লক্ষ্যে মাওলানা রেজাউল করিম কাসেমী ও তার সহযোগীরা ‘মাদানী বিল্ডকম প্রাইভেট লিমিটেড’ নামক একটি কোম্পানি তৈরি করে জাল দলিল সম্পাদনের মাধ্যমে বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রি করেন। পরবর্তীতে আদালত তাদের দোষী সাব্যস্ত করলে বর্তমানে তারা পলাতক রয়েছেন।’

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মনিন্দ্র জানান, এখানে ১৮ সংখ্যালঘুদের জমি রয়েছে। মজলাই এবং হিরা গং এই জমি দখল করার চেষ্ঠা করছেন। রিপনের স্ত্রী নদী বেগম ও আবুনি নামক মহিলা তার ভাড়াটিয়া।

x