ঢাকা, শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:৩৬ অপরাহ্ন
লকডাউন শিথিল হওয়ায় লাখাইয়ে হতাশা দূর হয়েছে খামারিদের
আশীষ দাশ গুপ্ত লাখাই হবিগঞ্জ প্রতিনিধি।। 
  হবিগঞ্জের  লাখাই উপজেলার কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে পারিবারিকসহ ছোটবড় ১৩৭ টি  খামারে প্রায় ৮০০০ টি গবাদিপশু বিক্রির জন্য পালন করা হয়েছে।  ঈদুল আজহা আর বাকি ছয়দিন   কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে ঈদের আগে লকডাউন সিথিল করায়  হতাশ  কিছু দূর হয়েছে  খামারিদের । অনেকেই ফেসবুকে গরু বিক্রি করা হবে বলে গ্রাহকদের নজর কাড়ার চেষ্টা করছেন। আসন্ন ঈদে পশুগুলো বিক্রি করতে পারবেন কি-না এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে তাদের।

খামারিদের দাবি, করোনার কারণে উপজেলার বৃহৎ পশুরহাট বামৈগরুবাজার করাব অস্থায়ী গরুবাজার পার্শ্ববর্তী  বি বাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার  ফান্দাউক গরু বাজার  বসতে দেওয়া হয়নি। এক সপ্তাহের জন্য সরকার লকডাউন শিথিল করায়  বসতে শুরু করেছে গরুর বাজার  । এ অবস্থায় তাদের পালিত গবাদিপশু হাটে তুলতে পারছেন । ঈদে পশুগুলো বিক্রি করতে না পারলে ব্যয় বাড়তেই থাকবে। এতে চরম লোকসানের মুখে পড়বেন তারা।

 লাখাই উপজেলা ভারপ্রাপ্ত  প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মোঃ শাহাদাত হোসেন  জানান  , এবার কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে উপজেলার  খামারসহ পারিবারিকভাবে গ্রামে পালিত গরু   প্রায় ১৩৭ জন খামারি গবাদিপশু লালন-পালন করেছেন। বিক্রির তালিকায় রয়েছে ষাঁড়, বলদ, গাভী, বকনা, মহিষ, ছাগল, ভেড়াসহ অন্যান্য প্রাণী। এদের সংখ্যা ৮০০০ । এ ছাড়া কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে তালিকার বাইরেও ছোট ছোট খামার ও বাড়িতে গবাদিপশু পালন করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয়ভাবে পালিত এসব গবাদিপশু থেকে এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি করে থাকেন খামারিরা। লাভজনক হওয়ায় অনেক বেকার যুবক আত্মনিয়োগ করেছেন এ পেশায়। সফলতাও পেয়েছেন অনেকে। কিন্তু করোনার কারণে হাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেশ দুশ্চিন্তায় ফেলেছিল তাদেরকে  কিন্তু এবার সে চিন্তা দূর হয়েছে  ।  লাখাইয়ে  বড় পশুর হাট হচ্ছে বামৈ গরু বাজার। সপ্তাহে  রবিবার শত শত পশু এ হাটে বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন খামারিরা। তবে ঈদকে সামনে রেখে এখন থেকে প্রতিদিন এই  বসবে গরুর হাট বলে জানিয়েছেন  বাজার ইজারাদাররা।   এ ছাড়া অন্যান্য বাজারে অস্থায়ী হাট বসে ৩টি। কিন্তু মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এর মধ্যে এসব হাট অনেকেই হাটে গরু না নিয়ে অনলাইনে বা নিজ বাড়িতে পাইকার এর নিকট   গরু বিক্রি করছে।

উপজেলার স্বজনগ্রামের  সামাদ মিয়া, সত্তর মিয়া , তিনি ৩টি ষাঁড় বিক্রির জন্য প্রস্তুত রেখেছেন।  বিশাল দেহের অধিকারী এই ষাড় কিন্তু  বাড়িতে রেখেই যত্ন করতে হচ্ছে। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখেই ৩টি গরু প্রতিপালন করে আসছেন। ঈদে বিক্রি করতে না পারলে ব্যয় বাড়তেই থাকবে। এতে লোকসানের মুখে পড়বেন তিনি।

 উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার  বলেন, বাজারে গবাদিপশুর সংকট নেই। তবে করোনায় হয়তো কিছুটা সমস্যায় পড়েছেন খামারিরা।  পশুর  ন্যায্য মূল্যও পাবে। যে গরু কোরবানির ঈদে বিক্রির  জন্য  খামারিদের আছে তা গড়ে ৮০ হাজার টাকা করে বিক্রি হবে।   পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে সবকিচু।

One response to “লকডাউন শিথিল হওয়ায় লাখাইয়ে হতাশা দূর হয়েছে খামারিদের”

  1. … [Trackback]

    […] Information to that Topic: doinikdak.com/news/36831 […]

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x