গত ২৬ জুন সংবাদ সম্মেলনের পর এবার পদায়নের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবির) সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. আব্দুস সোবহানের দেয়া অ্যাডহক নিয়োগপ্রাপ্তরা।
আজ সোমবার (২৮ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে ‘অ্যাডহকে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী’ ব্যানারে অনুষ্ঠিত হয়।
তাদের দাবি বর্তমান ভারপ্রাপ্ত রুটিন ভিসি প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা চাকরিতে পদায়নে স্থগিতাদেশ জারি করেছেন। কোন ক্ষমতাবলে তিনি আগুন নিয়ে খেলা করছেন? মানববন্ধনে এমন প্রশ্নও ছুঁড়ে দিয়েছেন তারা। এবার পদায়ন করতে না দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম চলতে দেয়া হবে না বলে হুমকি দেয়া হয়েছে। এজন্য ৭২ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন নিয়োগপ্রাপ্তরা। অন্যথায় আমরণ অনশনের হুমকি দেয়া হয়েছে।
নিয়োগপ্রাপ্ত আতিকুর রহমান সুমনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে চাকরিপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা মোঃ রাসেল বলেন, ‘আমরা এখনো শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে যাচ্ছি। কিন্তু আমাদের দাবি মেনে না নেয়া হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো স্বাভাবিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হতে দেয়া হবে না। আমাদের চাকরিতে পদায়নের সুযোগ না দিলে সবকিছু অচল করে দেয়া হবে।’
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আতিকুর রহমান সুমন বলেন, ‘আমরা জামায়াত-শিবিরের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি করেছি। সাবেক উপাচার্য আমাদেরকে চাকরি দিয়ে গেছেন। অথচ বর্তমান ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সেই চাকরিতে আমাদের পদায়নে স্থগিতাদেশ জারি করেছেন। কোন ক্ষমতাবলে তিনি আগুন নিয়ে খেলা করছেন?’
এ সময় অন্যদের মধ্যে নিয়োগপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি দেলওয়ার হোসেন ডিলস, ফিরোজ মাহমুদ, রাবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো রাসেল, ছাত্রলীগ নেতা মতিউর মর্তুজা, মহানগর যুবলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক এস কে এম আরকান বাপ্পী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
প্রসঙ্গত, চাকরি স্থায়ীকরণ ও দ্রুত যোগদানের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন করে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসির শেষ কর্মদিবসে বিতর্কিত নিয়োগ পাওয়া ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা। গত মঙ্গলবার(২২জুন) সন্ধ্যা সাতটায় উপাচার্য ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা অনুষ্টিত হওয়ার খবর শুনে তার পূর্বে ৬টার দিকে নিয়োগ পাওয়া ছাত্রলীগের নেতারা ভবনের গেটে অবস্থান নেন। এদের মধ্যে কয়েকজনকে সেখানে শুয়ে অবস্থান নিতেও দেখা যায়। আন্দোলনের তোপের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট মিটিং স্থগিত রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর আগে গত সোমবার (২১ জুন) রাজশাহীর আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যস্ততায় আন্দোলন স্থগিত করেছিলো নিয়োগপ্রাপ্তরা।
এর মাঝে অ্যাডহকে নিয়োগপ্রাপ্তদের ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এমন অভিযোগ আনেন দায়িত্বপ্রাপ্ত রুটিন ভিসি প্রফেসর আনন্দকুমার সাহা। এরপর পাল্টা সংবাদ সম্মেলন ডাকে নিয়োগপ্রাপ্তরা। সেখানে উল্টো ভিসির যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন এবং দ্রুত পদায়ন করার দাবি জানান।