পাইকগাছায় সাতদিনের কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিনে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন উপজেলা ও থানা পুলিশ প্রশাসন। সকাল থেকে উপজেলা সদর সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের বাজারে মানুষের যাতায়াত ছিল অন্যদিনের চেয়ে খুবই কম।
বিধি নিষেধ চলাকালে জেলা প্রশাসনের নির্দেশক্রমে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের বিধি নিষেধ মেনে চলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। একই সাথে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং পুলিশি টহল জোরদার ছিলো। করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে ২২ জুন মঙ্গলবার সকাল ৭ টা থেকে পাইকগাছায় শুরু হওয়া লকডাউন আগামী ২৮ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে। উপজেলা ব্যাপি নিত্যপণ্যের দোকানপাট ছাড়া অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে কিছু কিছু দোকান প্রশাসনের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে খোলা রাখতে দেখা গেছে।
উপজেলার প্রবেশদারসহ বাসস্টান্ড জিরোপয়েন্ট,বাজার জিরো পয়েন্ট, কাঁটাখালী বাজার, বাঁকা বাজার, কাঁটিপাড়া বাজার, শষ্টিতলা বাজার, মানিকতলা বাজার, কপিলমুনি বাজার, আগড়ঘাটা বাজার সহ মোড়ে মোড়ে থানা পুলিশ মোতায়ন রয়েছে। গণপরিবহন বন্ধ, ব্যক্তিগত মটরসাইকেল,ভ্যান,ইতিবাইক, নসিমন খুবি কম চলতে দেখা গেলেও সেগুলো বন্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন। চলতে দেখা যায়নি দূরপাল্লার কোনো যানবাহন। মাঠে রয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী সার্কেল ,এসপি হুমায়ুন কবীর, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি শারিয়ার হক ও পাইকগাছা পুলিশ প্রশাসন নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম।
উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে মাস্ক ব্যবহারের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কঠোর বিধিনিষেধ চলাকালে পাইকগাছা উপজেলার সর্বত্র কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া সবকিছু বন্ধ থাকবে। তবে, রোগী পরিবহনকারী অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি পণ্য বহনকারী ট্রাক এবং জরুরি সেবাদানের ক্ষেত্রে এ আদেশ প্রযোজ্য হবে না। কাঁচাবাজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় (মুদিখানা) পণ্যের দোকানপাট, খাবারের দোকান ও হোটেল রেস্তোরা যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে খাবারের দোকান ও হোটেল রেঁস্তোরায় কেবল খাদ্য বিক্রয় সরবরাহ করা যাবে। প্রয়োজন ব্যতীত কেউ এসব স্থানে যেতে ও জনসমাগম করতে পারবে না বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী।