প্রতিনিধি: ডেমরায় মাহমুদা আক্তার (৩৬) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাতে স্থানীয় আল রাফি হাসপাতাল থেকে মৃতের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। ওইদিন সন্ধায় ডেমরার বাঁশেরপুল আমিনবাগ এলাকার মৃত নাজিম উদ্দিনের বাড়ীর নিজ কক্ষ থেকে মৃতের ঝুলন্ত লাশ নিচে নামিয়ে ওই হাসপাতালে নেওয়া হয়।
নিহত মাহমুদা ওই বাড়ীর ছেলে ও এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবী মো. সূজন মিয়ার (৩৮) স্ত্রী। এ ঘটনায় মৃতের পরিবারের অভিযোগ, দাবিকৃত ১ লক্ষ টাকা যথাসময়ে না দেওয়া ও পারিবারিক কলহের জের ধরে মাহমুদাকে হত্যা করে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়েছে সূজন। আর এ বিষয়ে মৃতের বাবা মো. আশরাফ হাওলাদার শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ডেমরা থানায় ৩০৬ ধারায় সূজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তবে সূজন ঘটনার পরই পালিয়ে যাওয়ায় তাকে এ পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
বাবা আশরাফ হাওলাদার বলেন,গত ২০ বছর আগে মাহমুদার বিয়ের সময় আমরা জানতামনা যে সূজন ছিল মাদকসেবী। সে এ পর্যন্ত ১০/১১ বার জেলে গিয়েও ভাল হয়নি। ওই সংসারে ৩ টি মেয়ে সন্তান রয়েছে। জেল জরিমানার কারণে সূজনের পিছনে সব টাকা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মাহমুদা দর্জি কাজ করে সংসার চালাতো। আর সূজনদের বাড়ি ভাইদের মধ্যে বন্টন হওয়ায় সে আমার কাছে ১ লক্ষ টাকা দাবি করলে অমি কিছুদিন পরে যোগাড় করে দিব বলায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে মাহমুদার সঙ্গে কলহ শুরু করে। ওই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার দুপুরেও সূজন ও মাহমুদার সঙ্গে ঝগড়ার এক পর্যায়ে সে আমার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বরিশালে তাদের গ্রামের বাড়ীতে পালিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেমরা থানার ওসি খন্দকার নাসির উদ্দিন বলেন, ময়না তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে মাহমুদার মৃত্যুর আসল রহস্য বেরিয়ে যাবে। আর মাদক চোরাকারবারি সূজনকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।