বাংলাদেশের শিল্প ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়ে বিশেষ অবদানের জন্য ৯ গুণিজন ও ১টি সংগঠনকে ‘শিল্পকলা পদক’ দেয়া হচ্ছে। যেখানে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট নাট্যকার, নির্দেশক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক মলয় কুমার ভৌমিক।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পাঠানো এক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
২০২০ সালের জন্য চূড়ান্ত মনোনীত নয় গুণিজন হচ্ছেন- নাট্যকলায় মলয় ভৌমিক, যন্ত্র সঙ্গীতে সামসুর রহমান (সানাই), নৃত্যকলায় শিবলী মোহাম্মদ, কন্ঠসঙ্গীতে মাহমুদুর রহমান বেণু, চারুকলায় শহিদ কবীর, ফটোগ্রাফিতে মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম স্বপন, লোকসংস্কৃতিতে শাহ্ আলম সরকার, আবৃত্তিতে ডালিয়া আহমেদ, চলচ্চিত্রে শামীম আখতার এবং সৃজনশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে ‘দিনাজপুর নাট্য সমিতি’।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বিশিষ্ট নাট্যকার, নির্দেশক ও শিক্ষাবিদ মলয় ভৌমিক। তিনি ১৯৫৬ সালের ১ মে সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার কানসোনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা প্রয়াত শিবেন্দ্রনাথ ভৌমিক ছিলেন একজন কলেজ অধ্যক্ষ ও মাতা নিয়তি ভৌমিক গৃহিণী। তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তার অবস্থান তৃতীয়। পেশায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক হলেও নাট্যব্যক্তিত্ব হিসেবেই বেশি পরিচিত। নাটকে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৭ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত অনুশীলন নাট্যদলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তিনি। বাংলাদেশে পথনাটক আন্দোলন, বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে মুক্ত নাটক আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তাঁর ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। তার রচিত মৌলিক নাটকের সংখ্যা ২৬ টি। এছাড়াও তিনি ৩৬ টি নাটকের নির্দেশনা দিয়েছেন। শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে তিনি ভিয়েতনাম, হংকং, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ভারত, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, অষ্ট্রিয়া, গ্রিস, তুরস্ক সহ প্রায় ১৪ টি দেশ সফর করেন। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধাও। মাত্র ১৫ বছর বয়সে ১৯৭১ সালে ৭ নং সেক্টরের অধীনে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে তিনি সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।
শিল্পকলা একাডেমি সূত্রে জানা যায়, করোনা মহামারির কারণে ২০১৯ সালে যারা মনোনীত এবং ২০২০ সালে মনোনীত দুই বছরের পদক একসঙ্গে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সুবিধামতো সময়ে পদক প্রদান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পদক প্রাপ্তদের হাতে স্বর্ণের মেডেল ও এক লাখ করে টাকা তুলে দেওয়া হবে।