১১জুন সকাল ৬টা থেকে ২৪জুন রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪দিনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে শেরপুর জেলা প্রশাসন। শুক্রবার (১১ জুন) শেরপুরের জেলা প্রশাসক আনারকলি মাহবুব স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্তের কথাও জানানো হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
শেরপুর জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত মাসের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা তিন গুণ। জেলায় মে মাসে ৬৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছিল। আর জুন মাসের প্রথম ১০ দিনেই আক্রান্ত হয়েছেন ৮০ জন।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার (১০ জুন) ৬৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৪ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে।
এদের সবার বাড়িই শেরপুর পৌর এলাকায়। স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণেই জেলায় দ্রুত করোনা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এতে উদ্বিগ্ন জেলার সচেতন মহল। এ অবস্থায় জেলা প্রশাসকের বাসভবন মিলনায়তনে জেলার শীর্ষ কর্মকর্তাদের এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বৈঠকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১১ জুন সকাল ৬টা থেকে ২৪ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিধিনিষেধগুলো হচ্ছে- করোনায় আক্রান্তের বাড়ি পুরোপুরি লকডাউনে থাকবে। আক্রান্ত ব্যক্তি ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ির বাইরে যেতে পারবেন না। সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, বিবাহ, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, জন্মদিন, পিকনিক স্পট, পর্যটন ও পার্কসমূহ বন্ধ থাকবে। সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খোলা রাখা যাবে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে ওইসব দোকানপাট ও শপিং মল বন্ধ করে দেয়া হবে।
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ৭টার মধ্যে বাড়ির বাইরে বের হতে পারবেন না। হোটেল-রেস্তোরাঁয় কেউ বসে খেতে পারবেন না। শুধুমাত্র পার্সেল দিতে পারবে। সিএনজি, অটোরিকশাসহ ক্ষুদ্র যানবাহনে দুই জনের বেশি যাত্রী ওঠানো যাবে না। যাত্রীবাহী যানবাহনে অর্ধেকের বেশি যাত্রী ওঠানো যাবে না। আর সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।
সভায় জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব ও সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম আনোয়ারুর রউফসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম আনোয়ারুর রউফ জানান, আমরা সবার সঙ্গে পরামর্শ করে কিছু বিধিনিষেধ দিয়েছি। আগামী রোববার আবারও বসব। তখন পরিস্থিতি বিবেচনায় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply