ঢাকা, শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪, ০৯:৩৩ অপরাহ্ন
রাবির অর্থনীতি বিভাগের বিবৃতি : সামগ্রিকভাবে বাজেট গ্রহণীয়
ভাস্কর সরকার (রাবি প্রতিনিধি)

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট–পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষকেরা বলেছেন, এটি সামগ্রিকভাবে গ্রহণযোগ্য একটি বাজেট। তবে এতে কাঠামোগত কিছু দুর্বলতা আছে। তাছাড়া সব খাতে সমান নজর দেওয়া হয়নি। শিক্ষা-গবেষণা খাতের বরাদ্দ সার্বিক বিবেচনায় অনেকটা দূর্বল ৷

আজ সোমবার, (৭ জুন) বেলা ১১টায় মমতাজউদ্দিন একাডেমিক ভবনের মোশাররফ হোসেন গ্যালারিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিভাগের শিক্ষকেরা এসব কথা বলেন।

‘বাংলাদেশের ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট পর্যালোচনা’ শীর্ষক আয়োজনের শুরুতে অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ বাজেটের সংক্ষিপ্ত লিখিত বিবরণ তুলে ধরেন। এরপর তিনি বাজেটের উল্লেখযোগ্য কিছু দিক আলোচনা করেন এবং বাজেট বিষয়ে শিক্ষকদের মতামত ও সুপারিশমালা তুলে ধরেন।

পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিভাগের অধ্যাপক ইলিয়াছ হোসেন বলেন, ‘এবারের বাজেটকে পুনরুদ্ধার ও আগামীর পথে অগ্রযাত্রার বাজেট বলা হয়েছে। আমি এ বাজেটকে সামগ্রিকভাবে গ্রহণযোগ্য বলব, একেবারেই খারাপ বলব না। তবে এর কিছু কাঠামোগত দুর্বলতা আছে। কিছু জায়গায় অর্থমন্ত্রী হয়তো নজর দিতে পারেননি। আবার সরকার এবার মেগা প্রজেক্টে বরাদ্দ বেশি বাড়ায়নি। আবার স্বাস্থ্যে বরাদ্দ বেড়েছে, তবে গতবার কিন্তু সব খরচ হয়নি। রাজস্ব থেকে আয় বেশি ধরা হলেও এটা তেমন বাড়েনি।’

সরকারি ব্যয়ের কর্মদক্ষতা বাড়ানো, করোনাকালীন সৃষ্ট দারিদ্র্য মোকাবিলা ও সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী বাড়ানো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সুরক্ষা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে অধিকতর জোরদার, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রবণতা রোধ, কৃষির বৈচিত্র্যকরণ, আঞ্চলিক বৈষম্য হ্রাস এবং উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশে রেল ও নদী উন্নয়নের সুপারিশ করেন আবদুল ওয়াদুদ।

কালোটাকা সাদা করার সুযোগের ব্যাপারে অধ্যাপক আবদুর রশিদ সরকার বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী বলেছেন, যত দিন কালোটাকা থাকবে, তত দিন সাদা করার সুযোগ থাকবে। আমরা মনে করি, এটা থাকা উচিত নয়। বঙ্গবন্ধুর সময়েও এমন সুযোগ ছিল না। এটা অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়ায়। আমাদের অনেককে বৈধ আয় থেকেই ১৫-২০ শতাংশ পর্যন্ত কর দিতে হয়। কিন্তু কালোটাকার মালিকেরা ১০ শতাংশ কর দিয়েই ছাড় পেয়ে যান।’

শিক্ষকেরা বলেন, বাজেটে বড় কিছু দিকনির্দেশনা থাকা প্রয়োজন। যেসবের ভিত্তিতে অর্থবছরের বিভিন্ন পরিকল্পনা গৃহীত ও বাস্তবায়িত হবে। যেমন আঞ্চলিক বৈষম্য দূরীকরণের গাইডলাইন, আঞ্চলিক কর্মসংস্থান সৃষ্টির গাইডলাইন, আর্থিক ও কাঠামোগত সংস্কারের গাইডলাইন, দারিদ্র্য বিমোচনের গাইডলাইন, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও ব-দ্বীপ পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে উন্নত দেশে পৌঁছানোর গাইডলাইনগুলো আরও সুস্পষ্ট হতে হতো।

বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খানের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

2 responses to “রাবির অর্থনীতি বিভাগের বিবৃতি : সামগ্রিকভাবে বাজেট গ্রহণীয়”

  1. … [Trackback]

    […] Find More here on that Topic: doinikdak.com/news/23295 […]

  2. … [Trackback]

    […] Read More Info here on that Topic: doinikdak.com/news/23295 […]

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x