নাটোরের গুরুদাসপুরে বাড়ীতে ঢুকে পান্না বেগম (৪০) নামে এক শিক্ষিকাকে মারধর ও তার দুই হাতে এসিড নিক্ষেপ করেছে সন্ত্রাসীরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার গুরুদাসপুর বাজার এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে। আহত অবস্থায় পান্না বেগমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত পান্না বেগম উপজেলার শহীদ সাত্তার রেকায়েত প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ও ওই এলাকার শফিকুল ইসলামের স্ত্রী। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক ও স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি পান্না বেগম স্থানীয় এনজিও জাগরনী চক্র থেকে ৯৯ হাজার টাকা লোন উত্তোলন করেন। এরপর থেকে মিলন বিভিন্নভাবে পান্না বেগমের কাছে টাকা দাবী করে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে মিলন হোসেন তার কাছে টাকা পাওনা রয়েছে বলে মিথ্যা প্রচার চালায় এবং বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবী করতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে পান্না বেগমের বাড়ীর প্রাচীর টপকে ভিতরে প্রবেশ করে সন্ত্রাসী মিলন হোসেন ও তার কয়েকজন সহযোগী।
এ সময় পান্না বেগম এগিয়ে এলে মিলন সহ তার সহযোগীরা পান্না বেগমকে মারধর শুরু করে। ঘটনাটি দেখে পান্না বেগমের সন্তানরা চিৎকার শুরু করলে সন্ত্রাসীরা পান্নাকে উদ্দেশ্য করে এসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা পান্না বেগমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় পান্না বেগমের স্বামী বাদী হয়ে মিলন সহ অজ্ঞাত ৫/৬ জনের নামে থানায় মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরর পর পুলিশ মিলনের বড় ভাই এমদাদুল হককে আটক করে। মিলন ও তার সহযোগীদের আটকের চেষ্টা চলছে। মিলন হোসেন পৌর সদরের চাঁচকৈড় বাজারপাড়ার কাঠ ব্যবসায়ী আব্দুস সামাদের ছেলে। হাসপাতালের চিকিৎসক মো. শরিফুল ইসলাম জানান, পান্না বেগমের দুই হাতের কিছু অংশ এসিডে পুড়ে গেছে তবে তিনি শংকামুক্ত রয়েছেন।