ঢাকা, মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ভোলায় প্রাণিসম্পদের কোটি টাকার ক্ষতি
আর জে শান্ত, ভোলা

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসর প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ার-জলোচ্ছ্বাসের কারণে ভোলা জেলায় মারা গেছে ৭ হাজার ৪শ ১৪টি গবাদিপশু-পাখি। এরমধ্য রয়েচে ২৮টি গরু, ৫৬টি মহিষ, ৩০টি ছাগল, ২০টি ভেড়া, ৬ হাজার ৮৪৮টি মুরগি এবং ৪৩২টি হাঁস।

এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে ১৮৪টি গরু, ১১৮টি মহিষ, ১৮০টি ছাগল, ১২টি ভেড়া, ১ হাজার ৪৬৩টি মুরগি এবং ২৯৬টি হাঁস। অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় রয়েছে ৫ টন দানাদার খাদ্য, ৯৩ টন খড় ও ২৮১ টন ঘাস। গবাদিপশুর চরণভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩ হাজার ৪৩৬ হেক্টর।

জেলার ৪১টি ইউনিয়নের ৩০টি চরে এ ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস। টাকার অংকে এ ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ১ কোটি ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৬৮০ টাকা। এরমধ্যে গবাদিপশুর ক্ষতি ৪৯ লাখ ৫১ হাজার ৩৮১ টাকা। বাকি ক্ষতি হয়েছে পশুখাদ্য এবং অবকাঠামোর।

জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৬৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়নের সংখ্য ৪১টি। এরমধ্যে চর নিজাম,কলাতলির চর, মুজিবনগর, ঢালচর,মাঝের চর,  কুকরী-মুকরি, চর পাতিলা, মদনপুর, চর নাসরিন, চর মোজাম্মেল, চর জহিরউদ্দিনসহ ৩০টি দ্বীপচরে ক্ষয়ক্ষতি বেশি। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৯টি চর। এদিকে ঝড়ে আক্রান্ত হয়েছে ৩৬ হাজার ৫৫৪টি মুরগি, ১০ হাজার ১৯২টি হাঁস, ৩ হাজার ২৫২টি মহিষ, ৯ হাজার ৭৮৮টি ছাগল ও ১ হাজার ৩৭৪টি ভেড়া। এসব গবাদিপশু-পাখির চিকিৎসায় ২১টি ভেটেরিনারি মেডিক্যাল কাজ করছে।

দৌলতখান উপজেলার মাঝের চর  এলাকার বাসিন্দা মোঃ ইব্ররাহীম বলেন, চরে ৮ টি গরু, ১৫ টি ভেড়া, ১০টি ছাগল ও ২টা মহিষ মারা গেছে। এরমধ্যে তার একটি ছাগল মারা গেছে।

কুকরি-মুকরি ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন বলেন, চর পাতিলা এলাকায় ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে বেশ কিছু গবাদিপশু মারা গেছে বলে জানতে পেরেছি। তবে, তার সংখ্যা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার ম-ল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি কাজ শেষ হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবো। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বরাদ্দ এলে তা ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। এ পর্যন্ত ঝড়ে আক্রান্ত ১৩ হাজার গরু-ছাগল-মহিষ ও ভেড়ার চিকিৎসা সম্পন্ন হয়েছে। অন্যগুলোর চিকিৎসা চলছে।

One response to “ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ভোলায় প্রাণিসম্পদের কোটি টাকার ক্ষতি”

  1. Uzyskanie dostępu do tajnych informacji może dać przewagę biznesową nad konkurencją, a dzięki postępowi technologicznemu podsłuchiwanie jest teraz łatwiejsze niż kiedykolwiek. https://www.xtmove.com/pl/how-to-hide-spy-tape-recorder-at-home-to-eavesdrop-conversations/

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x