ঢাকা, সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫, ০২:০৯ অপরাহ্ন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে রাবি’তে মানববন্ধন
Reporter Name

– ভাস্কর সরকার (রাবি প্রতিনিধি) পূর্বঘোষিত প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার (২৫ মে) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন থেকে শুরু করে প্যারিস রোড বরাবর স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। অনতিবিলম্বে স্বাস্থবিধি মেনে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার জোর দাবি জানান মানববন্ধনে আগত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীগণ।

সংগঠনের সিনিয়র সদস্য জাবেদুল ইসলাম মনিরের সঞ্চালনায় এবং সভাপতি কে এ এম সাকিবের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপস্থিত বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের সম্মানিত শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এই সময় ছাত্রদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান আসিফ, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের  শিক্ষার্থী মতিউর রহমান, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জেবা মাকসুরা। অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানিয়ে তারা বলেন, দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা বই-পত্র বিমুখ হয়ে মোবাইল গেমে আসক্ত হয়ে পড়ছে এবং পারিবারিক ভাবেও হতাশায় জর্জরিত হয়ে যাচ্ছে। এর জন্য প্রায় দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকাকে দায়ী করেন তারা।

শিক্ষকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইন বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড. আবদুল আলিম, আরবী বিভাগের অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মাসুদ, অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফরিদ উদ্দীন।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সহমত পোষণ করে শিক্ষকরাও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানান । আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ বলেন, এশিয়ার মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশে দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষা-কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে যা ভবিষ্যতে দেশ ও জাতির জন্য ক্ষতিকারক। সরকার চাইলে বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষা-কার্যক্রম চালু রাখতে পারতেন কিন্তু সেটি করেননি। ক্রমশ শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য অবনতির দিকে যাচ্ছে।

অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ফরিদ উদ্দীন বলেন, শুধু শিক্ষার্থীরা নয় শিক্ষরাও মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছেন। অনেক সময় পারিবারিক পরিমণ্ডলে এর প্রভাব পড়ছে। কখনো কখনো পরিবারের সদস্যদের ওপর আচরণ কঠোর হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে অনলাইনে শতভাগ শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেয়াও সম্ভব হচ্ছে না।

আইন বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. আব্দুল আলিম বলেন, করোনা প্রতিরোধে কী ভূমিকা রাখা দরকার সেটি বিশ্ববিদ্যালয়েই গবেষণা হওয়ার কথা। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কারণে অনেক গবেষণা কার্যক্রম স্থবির। তাই দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার মাধ্যমে সেই পথ সুগম করার আহ্বান জানান তারা।

শিক্ষকরা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বাজেটে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা জোর দিয়ে স্বাস্থ্য সম্মত খাবারের ব্যবস্থা উচিত যাতে তাদের ইমিউনিটি সিস্টেম শক্তিশালী হয়। এছাড়া যত দ্রুত সম্ভব স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

x