আর জে শান্ত,ভোলা: ভোলা জেলার মিয়া পরিবারের কৃতি সন্তান সাবেক ধর্ম মন্ত্রী মরহুম মোশারেফ হোসেন শাহাজানের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
তিনি ১৯৩৯ সালে ১৯ সেপ্টেম্বর ভোলার ঐতিহ্যবাহী মিয়াঁ বাড়িতে মিয়াঁ পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। ২০১২ সালের ৫ মে তিনি ঢাকা ইউনাইটেড হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন।
আজ সেই ৫ ই মে, ২০১২ সালের এই দিনে দক্ষিন বঙ্গের মানুষের প্রাণ প্রিয় মুখ ভোলা জেলার মানুষের নয়নের মনি, মাটি ও মানুষের নেতা, সত্য ও ন্যায়পরায়ন লিডার দক্ষিন বাংলার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক ধর্ম মন্ত্রী জনাব মরহুম মোশারফ হোসেন শাজহান মিয়ার ৯ তম মৃত্যু বার্ষিকী।
ভোলা জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীর জানান , প্রতি বছর আমরা তার মৃত্যু বার্ষিকীতে নানা আয়োজন করে আসছি। কিন্তু এ বছর মহামারী করোনার ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এ ভাইরাসে আতংকিত পুরো বিশ্ব। তাই ৫ মে তার ৯ম মৃত্যু বার্ষিকীতে আগের মত সে ভাবে পালন হচ্ছে না, তবে সকাল ১০ টায় জেলা বিএনপির উদ্যোগে আলিয়া মাদ্রাসা জামে মসজিদে কোরাআন খতম, বাদ জহুর মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।এছাড়াও ভিন্ন মসজিদে মিলাদ, দোয়া খতম করানো হবে।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, ভোলা ১ ও ২ আসনের সংসদ সদস্য ভোলার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মাটি ও মানুষের নেতা ছিলেন মরহুম মোশারেফ হোসেন শাহাজান। তিনি ভোলা থেকে মোট ৬ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ১৯৯১ সালে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী, ২০০১ সালে ধর্ম মন্ত্রী ছিলেন। মরহুম মোশারেফ হোসেন শাহাজান ১৯৩৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর ভোলার ঐতিহ্যবাহী মিয়াঁ পরিবারে আলতাজের রহমান তালুকদার ও মাসুমা খাতুনের ঘরে জন্মগ্রহন করেন। ৩ ভাই এর মধ্যে তিনি প্রথম। প্রথম জীবনে তিনি নাটক, সাংবাদিকতা, আবৃতি, ফটোগ্রাফিকসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন। ছাত্র থাকা অবস্থায় রচনা করেন নাটক ‘নীর ভাঙ্গাঁ ঝড়’ সেই নাটকে তিনি নিজেও অভিনয় করেছেন। ভোলা থেকে পাকিস্তান আমলে ‘পাক্ষিক মেঘনা পত্রিকা’ প্রকাশ করেছিলেন। তার উদ্যোগে ১৯৬৮ সালে সর্ব প্রথম ভোলা প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয় তিনি সেই প্রেসক্লাবের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮০ সালের তিনিই সর্বপ্রথম সাপ্তাহিক ভোলাবাণী প্রকাশের উদ্যোগ নেন।১৯৬৫ সালে মাত্র সাড়ে ২৫ বছর বয়সে এমপি নির্বাচিত হয়ে সম্পৃক্ত হন রাজনীতির সাথে।
তিনি ভোলার ১ম মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক ছিলেন। জিয়াউর রহমানের দল প্রতিষ্ঠার পর পরই মোশারফ হোসেন শাহজাহান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে যোগ দেন। ১৯৭৯ সালে তিনি বিএনপি থেকে এমপি নির্বাচিত হন। প্রেসিডেন্ট জিয়া তাকে উপমন্ত্রীর মর্যাদায় বৃহত্তর বরিশালের জেলা উন্নয়ন সমন্বয়কারী মনোনীত করেন। ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার প্রথম মন্ত্রিসভায় তাকে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী করা হয় এবং ২০০১ সালে খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় মন্ত্রিসভায় তিনি ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত হন।
জানা যায় তার একান্ত উদ্দোগে ভোলা জেলায় গনশিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হয়। যার ফলাফল হিসাবে জেলায় অনেক যুবক বৃদ্ধসহ অনেক সাধারন অশিক্ষিত মানুষ ও স্বাক্ষর ঞ্জান অর্জন করেন। এবং বন্দুজন পরিষদ এর মাধ্যমে ভোলা কে কুড়ের ঘর মুক্ত করেন।
তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী। রাজনীতির ক্ষেত্রে ও তিনি ছিলন সফল। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি বিভিন্ন অংগ সংগঠন ও রাজনীতির সংস্পর্শে আসেন।
উল্লেখ্য, মোশারফ হোসেন শাজাহান ফুসফুস ও শ্বাসকষ্টসহ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ২০১২ সালের এই দিনে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। তিনি স্ত্রী, ৩ মেয়ে, ১ ছেলে, ২ ভাইসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
… [Trackback]
[…] Info to that Topic: doinikdak.com/news/13015 […]
… [Trackback]
[…] Read More to that Topic: doinikdak.com/news/13015 […]
… [Trackback]
[…] Information to that Topic: doinikdak.com/news/13015 […]