ঢাকা, বৃহস্পতিবার ০৬ মার্চ ২০২৫, ১০:৩৭ অপরাহ্ন
ঈদগাঁওতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্বি, এক মাসে ৭২ জনের শনাক্ত
Reporter Name

এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও: কক্সবাজার সদরে বৃহত্তর ঈদগাঁওতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এতেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন সচেতন মহল।জানা যায়,এপ্রিল মাসে বৃহত্তর ঈদগাঁওর ৭২জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এটি চলমানও রয়েছে।

মানুষের মাঝে সচেতনতা না থাকায়, সামাজিক দুরত্ব বৃদ্বি কিংবা স্বাস্থ্যবিধি না মানায় এই রোগ বৃদ্বি পাচ্ছে। লকডাউনে শুধুমাত্র দুরপাল্লার যান বাহন চলাচল বন্ধ থাকলে মার্কেট,বিপনী বিতান খোলা থাকার সুবাদে গ্রামের নরনারীদের উপচে পড়া ভীড় যেন চোখে পড়ার মত।

অধিকাংশ লোকজনের মুখে নেই মাস্ক। যে হারে করোনা রোগী সংক্রমিত হচ্ছে নতুন করে আতং কিত করে তুলছে সচেতন মানুষদেরকে।

গ্রামীন জনপদের অদক্ষ জনগোষ্টিসহ সাধারণ মানুষের মাঝে রোগ-বালাই নিয়ে কোন ধরনের উদ্বেগ না থাকায় এ রোগ বাড়তে পারে। পাড়া মহল্লায় সব দোকানপাঠ খোলা, যেখানে সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে লোকজন। যা ইচ্ছা তাই করছেন। দেখার যেন কেউ নেই। বিধি নিষেধ মানছেনা, প্রচার-প্রচারণা তোয়াক্কা করছেনা। ঘরে থাকুন, মাস্ক পড়ুন, সুস্থ থাকুন, নিজে বাঁচুন,অপরজন কে বাঁচান এসব কথা গুরুত্ব দিচ্ছেনা অধিকাংশ লোক। ৭০ভাগ মানুষ অসচেতন। সঠিকভাবে মাস্ক পরিধান, সামাজিক দূরত্ব বজায়, অযথা ঘুরাফেরা না করা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার, সাবান দিয়ে ঘনঘন হাত ধৌত করাসহ প্রচার প্রচারনায় ক্ষেত্রে ঘাটতি রাখেনি।

সত্যজনক হলেও দু:খ যে, ঈদগাঁওর সাধারণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে নিজেকে বাঁচার তেমন আগ্রহ  লক্ষ্য করা যাচ্ছেনা। মাস্কবিহীন ঘুরাফেরা করে যাচ্ছেন অনেকে। অসচেতনতায় নিজের জীবন কতটুকু ঝুঁকিতে জানেননা তারা। ৫ টাকা দামের মাস্ক না পড়া এবং নিরাপদে অবস্থান না করায় সম্ভাবনার এক তাজা প্রাণের কালও হতে পারে।

এ রোগ থেকে বাঁচতে হলে আগে নিজেকে রক্ষা করতে হবে।

সচেতন লোকজন জানান, সরকারী নিদের্শনাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই করোনা আতংক থেকে কিছুটা হলেও পরিত্রান পাওয়া যেতে পারে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় এর পরিসংখ্যানবিদ দেলোয়ার হোসাইন জানান,

চলতি এপ্রিল মাসে বৃহত্তর ঈদগাঁও থেকে ৭২ জন করোনা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। তবে এটি চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।

x