ঢাকা, মঙ্গলবার ১১ মার্চ ২০২৫, ০৩:১১ পূর্বাহ্ন
শ্রীনগরে গোন্ডেন সিটিতে ব্যাপক চুরি! চোর সনাক্ত
শ্রীনগর প্রতিনিধি

শালিশে রায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

শ্রীনগরে গোন্ডেন সিটি এলাকায় ব্যাপক চুরি। চোর সনাক্ত শালিশে রায় ৫০ হাজার টাকা জরিমান। গত ১-২ মাস যাবৎ চোরেরা দিনে এবং রাতে প্রাইমারী স্কুলসহ অন্তত ১০-১২টি বাড়ীতে চুরির ঘটনা ঘটায়। প্রায় অর্ধকোটি টাকার মালামাল চোরেরা চুরি করে নিয়ে যায়।

এতে জনমনে আতংক দেখা দিয়েছে। সিসি টিভি ফুটেজে ইমরান ও সৈকত নামে দুই চোরকে সনাক্ত করে শালিশ করে স্থানীয়রা। শালিশে ঐ দুই চোরকে এলাকা থেকে বিতাড়িত করে। পূনরায় দেখলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে বলে রায় দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। শালিশে এমন রায়ে এলাকায় জন সাধারনের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানায় এ কেমন শালিশ। চোরদের থানায় না দিয়ে কেন? ছেড়ে দেওয়া হলো।

স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার শ্রীনগর সদর ইউনিয়নের পশ্চিম দেউলভোগ গোল্ডেন সিটি ও শিমুল পাড়া এলাকায় গত ১-২মাসের মধ্যে ষোলঘর ২নং সরকারী প্রাইমারী স্কুলসহ অন্তত ১০টির বেশী বাড়ীতে চুরি হয়। ১৪ জুন রাতে গোল্ডেন সিটি আলমগীর মিয়ার ভাড়াটিয়া হাফিজুল ষ্টোরের মালিক শামীমের

মুদি দোকান থেকে চোরেরা রাতের আধারে তালা ভেঙ্গে ৫০ হাজার টাকার বিভিন্ন মালামালসহ একই রাতে আলমগীর মিয়ার বাসার নিচতলা থেকে একটি সাইকেল চুরি করে নিয়ে যায়। গত কয়েকদিন আগে পাশেই দেলোয়ারের চায়ের দোকানের তালা ভেঙ্গে বিভিন্ন মালামাল চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা।

দুই মাস পূর্বে রহিম বেপারীর বাসার নিচ তলা হতে অপ্সনিন কোম্পানির রিপ্রেজেন্টিভের একটি ডিসকভার কোম্পানীর মোটর সাইকেল চুরি হয়। এর কয়েক দিন পরেই এলাহীর বাসা থেকে একটি মটর ও পাশের নার্সারী থেকে একটি টিউবওলের মাথা, কয়েকটি লোহার থামার ও প্রাইমারী স্কুল থেকে একটি মটর দুইটি টিউবওয়েলে মাথা চুরি হয়। ১৪ জুন রাতে শিমুল পাড়া ফরহাদ মিয়ার ঘরের তালা ভেঙ্গে ঘরে থাকা একটি ৩২ইঞ্চি ফ্লাট টিভি ও একটি মোবাইল সেট ও একই রাতে পাশের বাড়ীর থেকে একটি চাউলের বস্তা চুরি করে নিয়ে যায়। মালামাল চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় আলমগীর মিয়ার বাড়ীর সিসি টিভির

ফুটেজে চোর সৈকতকে দেখতে পায়। এ নিয়ে ১৫ জুন স্থানীয়রা গোল্ডেন সিটিতে শালিশ বসায়। শালিশে গোল্ডেন সিটি রহমতে আলম শাহী জামে মসজিদের সভাপতি আলমগীর হোসেন ও সাধারন সম্পাদক শাহ-আলম মোল্লা চোর সৈকত ও ইমরানকে চোর সনাক্ত করে ৫০ হাজার টাকা রায় দিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

এব্যাপারে গোল্ডেনসিটি রহমতে আলম শাহী জামে মসজিদের সাধারন সম্পাদক শাহ-আলম মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যাদেরকে আমরা ধরেছি। তারা অন্য দুইজনের নাম বলছে। আমরা তাদেরকে ধরতে পারি নাই। কাউকে চোর সনাক্ত করতে না পারলে আমরাতো তাকে শাস্তি দিতে পারি না।

x