ঢাকা, শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২১ অপরাহ্ন
সাংবাদিকের উপর হামলায় দোষীদের গ্রেফতারে পুলিশের উদাসীনতা
Reporter Name

আসাদুল্লাহ নরসিংদী: নরসিংদীর মনোহরদীতে দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধি ইমাম হোসেন রিপনের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সন্ত্রাসীদের এলোপাথারি মারপিটে রক্তাত্ব আহত হয়েছেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৭টার দিকে মনোহরদী সরকারি কলেজ মাঠে এই ঘটনা ঘটেছে।

আহত ইমাম হোসেন রিপন মনোহরদী উপজেলা রিপোর্টাস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও মনোহরদী প্রেসক্লাবের কার্য নির্বাহী সদস্য। আহত সাংবাদিকের স্বজনদের অভিযোগ, লকডাউনে অবৈধভাবে নদীর মাটি বিক্রি করছেন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আতিকুর রহমান। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে যুবলীগ নেতা আতিকের নেতৃত্বে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। এদিকে ঘটনার একদিন পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। ফলে সাংবাদিক নির্যাতনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নরসিংদী ও মনোহরদী প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন। সাংবাদিক রিপনের বড় ভাই উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আতিকুল ইসলাম মিলন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, চলমান লকডাউনের মধ্যে অবৈধভাবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মনোহরদী সরকারি কলেজের পিছনের একটি জমিতে মাটি ভরাট করে যুবলীগ নেতা আতিক। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিক রিপনের সঙ্গে এক ড্রাম চালকের কথা কাটাকাটি হয়।

এরই জের ধরে ইফতারের পর দুই যুবক আতিকের সঙ্গে কথা বলার জন্য সাংবাদিক রিপনকে বাড়ি থেকে ডেকে কলেজে নিয়ে আসে। সেখানে আসা মাত্রই আগে থেকে উৎ পেতে থাকা ১৫ থেকে ২০ জনের একদল সন্ত্রাসী সাংবাদিক রিপনকে এলোপাথারি মারপিট করে। ওই সময় তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আহত সাংবাদিক রিপনকে উদ্ধার করে। হামলাকারীদের আঘাতে সাংবাদিক রিপনের মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। ঘটনার পর থেকে তাঁর নাক দিয়ে রক্ত ঝড়ছে। তাঁকে প্রথমে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ খননে উত্তোলিত মাটি বিক্রি করতে গড়ে উঠেছে একটি সিন্ডিকেট চক্র। তাঁরা দিনরাত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ড্রাম ট্রাকের মাধ্যমে মাটি বিক্রি করায় রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। আর ধুলোবালুতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। ড্রাম ট্রাকের বেপরোয়া চালানোয় ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

এই নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা জানতে চাইলে অভিযুক্ত উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আতিকুর রহমান বলেন, ইফতারের আগে আমার ট্রাকের চালক জানায়, সাংবাদিক রিপন ভাই তাকে মারধর করেছে। ইফতারের পর এই বিষয়ে কথা বলতে আমি কলেজ মাঠে গিয়ে দেখি পোলাপাইন রিপন ভাইকে মারধর করছে। আমি দৌড়ে ওনাকে বাঁচিয়েছি। সাংবাদিকের উপর হামলাকারীরা গ্রেপ্তার না হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান বলেন, মাটির ট্রাক যাওয়াকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটেছে। আহতের স্বজনরা অভিযোগ করেছে, আতিক ফোন দিয়ে নিয়ে তাকে মারধর করেছে। কিন্তু তারা এখনো থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নরসিংদী প্রেসক্লাবের সভাপতি মাখন দাস বলেন, মনোহরদীতে একের পর এক সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনা ঘটছে। কিন্তু পুলিশ কোন হামলাকারীকেই গ্রেপ্তার করেনি। আমরা সাংবাদিকের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবী জানিয়েছি। উল্লেখ্য, আসামি গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত নরসিংদী পুলিশ এর সকল খবর প্রকাশ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আসাদুল্লাহ নরসিংদী

One response to “সাংবাদিকের উপর হামলায় দোষীদের গ্রেফতারে পুলিশের উদাসীনতা”

  1. jarisakti says:

    … [Trackback]

    […] Here you can find 53843 additional Information on that Topic: doinikdak.com/news/8376 […]

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x