সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ২নং খাজাঞ্চী ইউনিয়নের হামদরচক ভুলাগন্জ গ্রামের অবহেলিত মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তায় স্বাধীনতার ২৫ বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। কাঁদাময় হয়ে বেহাল অবস্থার কারণে এ রাস্তা দিয়ে চলাচলে জনগণের ভোগান্তি ক্রমেই বেড়ে চলছে। বিভিন্ন সময়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা এ রাস্তার উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা ছিল গুড়ে বালি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খাজাঞ্চী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের হামদরচক ভুলাগন্জ গ্রাম উপজেলার লামাকাজী টু প্রিতীগন্জ বাজারের দক্ষিনে চন্দ্রগ্রাম হয়ে এবং রামপাশা টু প্রিতীগন্জ বাজার রাস্তার দক্ষিন পশ্চিম দিকের জনপদ। প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তাটি বহুদিনের পুরানো এবং কাঁচা। গ্রাম গুলির বিশাল জনগোষ্ঠির নিত্যদিনের পারিবারিক, সামাজিক, ব্যবসায়িক ও শিক্ষার্থীদের আসা যাওয়ার জন্য মেঠো পথের সঙ্গী আজও। বর্ষার মৌসুমে সামান্য বৃষ্টি হলেই হাটু পর্যন্ত কাঁদার সৃষ্টি হয়। এছাড়াও কাঁচা রাস্তার বিভিন্ন অংশে ভাঙ্গন ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ রাস্তা দিয়ে জনসাধারণ ও যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে সদা সর্বদাই।
হামদরচক গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা সানোয়ার আলী বলেন ২ কিলোমিটার রাস্তা কাদাযুক্ত ও ভাঙ্গনের কারণে এ অঞ্চলের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারে বিক্রি করতে সমস্যা হচ্ছে। স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। কোন মুমূর্ষু রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
পার্শ্ববর্তী ভুলাগন্জ গ্রামের মানুষও এ রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করে থাকে। সামান্য বৃষ্টি হলেই তাদের সাথেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
নির্বাচনের আগে ও পরে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা রাস্তা পাকাকরণের কথা দিলেও তা শুধু মুখে বলা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিলো।
স্থানীয় গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে রাস্তায় একাধিকবার বালু, মাটি, ইট ও কংক্রিট ফেলে জন সাধারণের চলাচলে কিছুটা উপযোগী করে গেলেও খালের পাশে রাস্তাটি হওয়ায় বর্ষার মৌসুমে বৃষ্টির পানিতে রাস্তাটি কাঁদায় কদাকার হয়ে জনদুর্ভোগ চরম পর্যায়ে চলে যায়। অবহেলিত গ্রামীণ ২ কিলোমিটার এ কাঁচা রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি জানিয়েছেন গ্রামে বসবাসকারী প্রায় হেড় হাজার মানুষ।
‘হ্যাঁ আমরা খুব কষ্টে আছি, আমাদের ভোগান্তি ও কষ্ট বুঝার মতো মানুষ নেই। একথা বলে দীর্ঘ একটা নিঃশ্বাস ছেড়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহাব আলী তার মনের ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ১৯৭১ সালে জীবনের মায়া ত্যাগ করে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি ঠিক কিন্তু যোগাযোগটা ৭১’র মতো ই রয়ে গেলো
গ্রামের মো. আখল আলী ও যুবকদের পক্ষ্যে মো. হেলাল আহমদ বলেন, কষ্ট বলার মতো বড় পদের অধিকারী কোন নেতাও নাই এ এলাকায় যার কাছে গিয়ে উচ্চ পর্যায়ে বড় গলায় চাওয়া পাওয়ার দাবি নিয়ে দাঁড়াবো।
তাই মাননীয় ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও), সংসদস সদস্য মহোদয়ের প্রতি গ্রামবাসীর পক্ষে রাস্তাটি পাকাকরণের জোর দাবী জানানো হয়।
স্হানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তালুকদার মো. গিয়াস উদ্দিনের সাথে মুটো ফোনে কথা হলে তিনি রাস্তা পাকাকরণের জন্য উচ্চ পদস্ত কর্মকর্তাদের সদয় অবগতি কামনা করেন।
Leave a Reply