ঢাকা, মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩, ০৬:৫২ পূর্বাহ্ন
চলছে পাবজি-ফ্রি ফায়ার, বন্ধে নতুন ‘কৌশল’
দৈনিক ডাক অনলাইন ডেস্ক

রাজধানীর অনেক অলিগলি ও ভবনের ছাদে দেখা মেলে কিশোরদের দল বেঁধে পাবজি গেম খেলায় আসক্তির দৃশ্য। এ খেলায় মেতে থাকে সব শ্রেণির শিশু-কিশোরই। নিম্নবিত্ত শ্রমজীবী থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা; সব শ্রেণিকেই এ গেম খেলতে দেখা যায়। বিশেষ করে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের মাঝে এ প্রবণতা বেড়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞ ও মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, অন্যান্য ব্যাটেল রয়্যাল গেমের মতোই পাবজি কিংবা ফ্রি ফায়ার গেমও অনেক বেশি হিংস্র। এর ভয়াবহতাও অনেক বেশি। ব্যবহারকারী শিশু-কিশোরদের মধ্যে একপ্রকার ক্ষিপ্রতা তৈরি করে।

পুরোপুরি বন্ধ না হওয়া কিংবা বিকল্প নেটওয়ার্কে (ভার্চ্যুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বা ভিপিএন) অনলাইন গেম পাবজি ও ফ্রি ফায়ারের ব্যবহার চলায় ‘প্রাযুক্তিক ব্যর্থতা’ বলছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, শিশুদের মনোবিকাশে বাধা ও উগ্র মানসিকতা তৈরি করে পাবজি ও ফ্রি ফায়ার গেম। সেজন্যই বন্ধ করাটা জরুরি ও সময়সাপেক্ষ ছিল। কিন্তু গেম দুটি পুরোপুরি বন্ধের সক্ষমতা বিটিআরসির নেই। যে কারণে বন্ধের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হচ্ছে বলে মনে করেন তারা।

জানা গেছে, প্রযুক্তিগত জটিলতার কারণে বাংলাদেশে এখনও বিভিন্ন স্থানে মোবাইল ফোন থেকে গেম দুটি খেলা যাচ্ছে। আবার ভিপিএন ব্যবহারে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ব্যবহারকারীরাও গেম দুটি খেলতে পারছেন। তবে, বিটিআরসির কর্মকর্তারা বলছেন, গেম দুটির লোকাল সার্ভার থাকতে পারে। যার মাধ্যমে এখনও বাংলাদেশে গেম দুটি চলছে। ভিপিএন বন্ধ করা সম্ভব না। তবে গতি কমিয়ে দিয়ে গেম খেলা বিঘ্নিত করা যায় কিনা, সে চেষ্টা চলছে।

মোবাইল অপারেটর কোম্পানির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে বলেন, গেম দুটির মোবাইল ভার্সনের অপারেটিং সিস্টেম বেশ শক্তিশালী। বাংলাদেশে একটা ভার্সন বন্ধ করা গেলেও গ্লোবাল ভার্সনে গেম দুটি খেলা যাচ্ছে বাংলাদেশে বসেই। এরকম আরও ছয়টি ভার্সন আছে, যেগুলোও বন্ধ করা জরুরি বলে মনে করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x