আজানের দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়ার রীতি প্রচলিত ছিল সৌদি আরবে। এমনকি আজান হলে জরুরি পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান যেমন- পেট্রল পাম্প, ফার্মেসি, রেস্টুরেন্ট ও সুপারমার্কেটের সেবার জন্যও বাইরে অপেক্ষা করতে হতো। এটি দেশটির ঐতিহ্যই বলা যায়। কিন্তু সেই ঐতিহ্য থেকে এবার পিছু হটল সৌদি আরব।
এখন থেকে আজান হলেও নামাজের সময় খোলা থাকবে এসব প্রতিষ্ঠান। খবর আরব নিউজের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভোক্তাদের অসুবিধা বিবেচনা করেই ঐতিহ্যগত এই রীতি থেকে সরে আসার ঘোষণা দিল সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার সৌদি চেম্বার্স এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, নামাজের সময় দোকান খোলার রাখার অনুমতি দিয়েছে দেশটির সরকার।
চেম্বার্সের সভাপতি আজলান বিন আবদুল আজিজ আল-আজলান জানান, ভোক্তাদের কেনাকাটার অভিজ্ঞতা ও পরিষেবার মান বাড়াতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি ও অর্থনীতি বিষয়ক লেখক ও ভাষ্যকার আলী সামির শিহাবি। টুইটারে তিনি বলেন, দৈনন্দিন জীবনে ধর্মীয় আধিপত্য অবসানের বড় ধরনের প্রতীকী ও রাজনীতিক পদক্ষেপ এটি।
তার মতে, নামাজের জন্য এ প্রতিষ্ঠান ছিল কাজ থেকে দীর্ঘ বিরতির অজুহাত।
যার কারণে পণ্য ও সেবার জন্য ভোক্তাদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হতো। এমনকি এ কারণে সরকারি দফতরগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হতো।
তবে অর্থনীতিবিদ হাবিবুল্লাহ আল-তুর্কিস্তানির মতে, এর ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে বড় কোনো প্রভাব পড়বে না। কর্মচারীরা মধ্যবর্তী বিরতি নেয়। এখন নামাজের সময় দোকান খোলা থাকলেও কর্মচারীরা বিরতি নেবে।
এটা তাদের অধিকার।
আরও বলেন, যারা অতিপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করেন, বিশেষ করে মহাসড়কে যেসব দোকানের অবস্থান, তারা এ সিদ্ধান্তে লাভবান হবে। কিন্তু ধর্মীয় কাজে কর্মচারীদের বাধা দেওয়া যাবে না।
… [Trackback]
[…] There you will find 53520 more Info to that Topic: doinikdak.com/news/37274 […]